সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীতকালে ত্বক এমনিতেই শুষ্ক হয়ে যায়। অনেকের আবার গোড়ালি ফাটতেও দেখা যায়। কিন্তু এই সময় বেশি করে সতর্ক থাকতে হবে ডায়াবেটিক রোগীদের। কারণ, এমনিতেই উচ্চ মাত্রায় ডায়াবেটিস থাকলে পায়ের ছোট স্নায়ুগুলি নষ্ট হয়ে যায়। ফলে পায়ের পাতায় কোনও সংক্রমণ হলে কিংবা কেটেকুটে গেলে তা সহজে রোগী ধরতে পারেন না। আর তাতে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। শুধু তাই নয়। অনেক ক্ষেত্রে ডায়াবেটিক রোগী পায়ের খসখসে চামড়ায় ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন। সেই ময়েশ্চারাইজারে অনেক সময় ছত্রাক সংক্রমণ ঘটে। তাতে পা ফেটে গিয়ে রক্ত ও তরল রস বেরোতে দেখা যায়। এটি পরবর্তীতে বড়সড় সমস্যা তৈরি করে।
কেন সতর্ক হবেন?
ডায়াবেটিস রোগীদের পায়ের স্নায়ু একটা সময়ের পর অকেজো হয়ে পড়ে। এর ফলে রোগীর পায়ের ছোটখাটো আঘাত, ফোসকা বা কাটা জায়গা অসাড় হয়ে পড়ে। তাই নিজে থেকে সতর্ক না হলে পায়ের চামড়ায় যেকোনও বড়সড় সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। পা ফাটলে সেখানে সহজে জীবাণু প্রবেশ করে। ডায়াবেটিসের কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনিতেই কম থাকে। ফলে সামান্য সংক্রমণও গুরুতর আকার নিতে পারে। অনেকেই পায়ের আঙুলের ফাঁকে বা মাঝে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন। কিন্তু পায়ের এই স্থানেই ছত্রাক বা ফাঙ্গাল সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি থাকে। একে অ্যাথলেটস ফুট বলা হয়।
১) কখনই পায়ের আঙুলের ফাঁকে বা মাঝে ময়েশ্চারাইজার মাখবেন না। শুধু পায়ের পাতা, গোড়ালি এবং উপরের অংশে ক্রিম মাখুন।
২) হালকা গরম জলে পা ধুয়ে নরম তোয়ালে দিয়ে আলতো করে মুছে সম্পূর্ণ শুকিয়ে নিন। এরপর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
৩) যাঁদের চর্মরোগ রয়েছে, তাঁরা আগেভাগে সাবধান হোন। পায়ের চামড়া কালো হয়ে গিয়ে ফাটতে শুরু করলে কিংবা কোনও ফোসকা, লালচে ভাব বা ফাটা দেখলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৪) সুগন্ধি ও অ্যালকোহলমুক্ত, বিশেষত ইউরিয়া সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। সঙ্গে কাপড়ের পা-ঢাকা নরম জুতো ব্যবহার করুন। যে সমস্ত ডায়াবেটিস রোগীদের ত্বকে সমস্যা রয়েছে, তাঁদেরকে শীতকালে সতর্ক থাকতে হবে। যেকোনও ত্বকের সমস্যায় দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
