সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভেতো বাঙালিকে ভাতের থেকে দূরে সরিয়ে রাখা মুশকিল। কিন্তু পুজোর কথা ভেবে এই সময় অনেকেই ভাত খাওয়া ছাড়েন। ওজন ঝরিয়ে এক মাসের মধ্যেই ছিপছিপে রোগা হওয়ার সহজ উপায় এর চেয়ে আর কিছু নেই। আর শুধু ভাতই বা বলি কেন! অনেকে একসঙ্গে ভাত ও রুটি দু'টোই খাওয়া বন্ধ রাখেন। শরীরে এক চিমটে মেদও যাতে না জমে তাই এই কারিগরি। কিন্তু হঠাৎ করে ভাত ও রুটি খাওয়া বন্ধ করলে কী প্রভাব পড়তে পারে শরীরে? ৩০ দিনে সত্যিই কি ওজন কমে জিরো ফিগার হওয়া যায়? নাকি শরীরে কোনও বিরূপ প্রভাবও পড়তে পারে? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
অবশ্যই ওজন কমবে
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কম কার্বোহাইড্রেট হল ডায়েটের ভিত্তি। ভাত বা রুটি বন্ধ করার অর্থ শরীরে কম ক্যালোরি গ্রহণ। ফলে, শরীরের কম ক্যালোরি গেলে স্বাভাবিক ভাবেই ওজন কমে যাবে। প্রথম দিকে আলস্য বা ক্লান্তি দেখা দিলেও ধীরে ধীরে তা ঠিক হয়ে যায়।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ
যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাদের জন্য ভাত বা গমের মতো উচ্চ জিআইযুক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো। ভাত ও রুটি খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। পরিবর্তে ওটস, বার্লি বা বাজরার মতো কম জিআইযুক্ত শস্য এক্ষেত্রে খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত।
মিটবে হজমের সমস্যা
ভাত-রুটির পরিবর্তে সবুজ শাকসব্জি বা ফাইবার যুক্ত খাবার খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এমনকী গ্যাস বা বদহজমের সমস্যায় রুটি না খাওয়াই ভালো।
শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়
ভাত বা রুটি মানেই যে খারাপ এমন ভাবনা মনে পুষে না রাখাই ভালো। কারণ এই দুটি খাবারেই ফাইবার, ভিটামিন বি, আয়রন ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট উপাদান রয়েছে। তাই, ভাত রুটি খাওয়া ছেড়ে দিলে শরীরে অনিবার্য ভাবে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেবে।
তাহলে কী করবেন?
রোগা হওয়ার জন্য ভাত রুটি বাতিল করার কোনও দরকার নেই। বরং কম কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করলেই ল্যাটা চুকে যায়। ভাত রুটির পরিবর্তে আপনি বাদামি চাল, মাল্টিগ্রেন আটা, বাজরা বা ডালিয়া খেতে পারেন। সঙ্গে অবশ্যই বেশি করে শাকসব্জি, প্রোটিন ও ফল রাখুন। এইসব খাবারে ফাইবার বেশি থাকে। এমনকী প্রয়োজনীয় পুষ্টিও পাওয়া যায়। হজম ও রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই ভাত ও রুটি বন্ধ করে শরীরে চিরতরে কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে চলার পরিবর্তে সঠিক খাদ্যাভাসে নিজেকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করুন। তাতেই ভালো থাকবেন।
