সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীতকালের শুরুতেই বাড়তে থাকে বিভিন্ন অসুখ। সাধারণ সর্দি-কাশি, জ্বর থেকে শুরু করে নানা জটিল রোগের আধিক্য বাড়ে। শুধু তাই নয়, ভাইরাস জনিত রোগে কাবু হন অনেকেই। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাদের কম, তারাই সবচাইতে বেশি ভোগেন। তাই, এ সময় যদি প্রতিদিন কেউ এক কোয়া রসুন সকালে উঠে খালিপেটে চিবিয়ে খেতে পারেন, তাহলে শীতের অসুখ-বিসুখ থেকে সহজেই মিলবে মুক্তি।
রসুনে প্রধানত অ্যালিসিন এবং অন্যান্য সালফার-সমৃদ্ধ যৌগ রয়েছে। এই উপাদানগুলি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়াও ভিটামিন সি এবং জিঙ্ক থাকে। এগুলি শরীরের শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বাড়ায়, যা ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
১) রসুনে থাকা অ্যালিসিন নামক যৌগ হৃৎপিণ্ডের জন্য খুবই উপকারী। এটি রক্তনালীকে নমনীয় রাখতে সাহায্য করে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
২) রসুন উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। এটি ধমনীর উপর চাপ কমিয়ে রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখে।
৩) এটি LDL (খারাপ কোলেস্টেরল) এবং ট্রাইগ্লিসারাইডস কমাতে কার্যকরী।
৪) রসুনে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও সালফার-সমৃদ্ধ যৌগ থাকে। এই উপাদানগুলি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৫) রসুনের প্রদাহরোধী গুণ রয়েছে। এটি শরীরে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
৬) রসুনের প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক গুণ রয়েছে। এটি কিছু ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক সংক্রমণ মোকাবিলায় সহায়তা করে।
৭) রক্তকে কিছুটা পাতলা রাখতে সাহায্য করে, যা কার্ডিওভাসকুলার ঝুঁকি কমায়।
৮) রসুনে রয়েছে প্রাকৃতিক ফাইবার। এটি প্রিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। এই প্রিবায়োটিকগুলি অন্ত্রের মধ্যে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে খাদ্য সরবরাহ করে। এর ফলে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়ে এবং তারা শর্ট-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরি করে। এই SCFAs অন্ত্রের ভেতরের আবরণীর স্বাস্থ্য রক্ষা করে। ফলে সামগ্রিক ভাবে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয়।
