সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইট-কাঠ-কংক্রিট গ্রাস করেছে জঙ্গলকে। তার ফলে কমছে পাখি। তবে শহরাঞ্চলে পায়রার সংখ্যা নেহাত কম নয়। প্রায়শয়ই দেখা যায়। ব্যালকনি থেকে চিলেকোঠা কিংবা রাস্তা - সর্বত্র তাদের আনাগোনা। খাবার দেন বহু অনেকেই। এই অভ্যাস কী আপনাদেরও রয়েছে? উত্তর 'হ্যাঁ' হলে এখনই সাবধান হওয়া প্রয়োজন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পায়রার সংস্পর্শে প্রতিনিয়ত আসলে ক্ষতির আশঙ্কা অনেকটা। কারণ, পায়রা ডানার মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া এবং ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পোকামাকড় বহন করে। নিত্যদিনের এই অভ্যাস বড়সড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। তার ফলে হাইপারসেনসিটিভিটি নিউমোনাইটসের মতে ফুসফুসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যার উপসর্গ ফুসফুসে প্রদাহ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া। তড়িঘড়ি এই রোগের চিকিৎসা হলে রোগমুক্তির সম্ভাবনা বেশি। তবে সঠিক চিকিৎসা না হলে ফুসফুসের বড়সড় ক্ষতি হতে পারে। তাই চিকিৎসকদের মতে, আপনার ব্যালকনিকে পায়রার অবাধ বিচরণক্ষেত্র না করে ফেলাই ভালো।
নিজেকে বাঁচাতে কী করবেন:
* পায়রাকে খেতে দিতে খুব কাছাকাছি এগোবেন না। দূর থেকে খাবার দিন।
* ব্যালকনিতে পায়রার আনাগোনা থাকলে জাল লাগান। সবসময় পায়রার বিচরণস্থলকে পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন।
* পায়রা খেতে দিতে গেলে এন ৯৫ মাস্ক পরুন, নইলে বিপদ হতে পারে।
* পায়রার ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে বাঁচতে স্পাইক স্ট্রিপস, রিফ্লেকটিভ টেপ অথবা আলট্রাসোনিক রিপিলেন্টস ব্যবহার করুন।
* পায়রার বিচরণক্ষেত্র সাবান দিয়ে প্রতিদিন পরিষ্কার করুন।
* ব্লিচিং পাউডার, ফিনাইলও ব্যবহার করতে পারেন। তবে তার ফলে পায়রার যেন কোনও ক্ষতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে ভুলবেন না।
* অবশ্যই সাবান দিতে হাত-পা ধুয়ে ফেলুন। নইলে সমস্যা হতে পারে।
বাড়িতে পায়রা থাকলে আর শ্বাসকষ্টজনিত কোনও সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে দেরি করবেন না। তাতে বিপদ বাড়বে।
