সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাই প্রেশারে অতিরিক্ত নুন খাওয়া থেকে বিতর থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু খাবারে নুন পুরোপুরি বন্ধ করার কথা বলেন না। অথচ প্রেশার বাড়লেই সবার প্রথমে খাবারে নুনের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার কাজটি করেন রোগী ও তার পরিবার। কিন্তু পর্যাপ্ত নুন না খেলে ঘটতে পারে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা। সে সম্পর্কে সম্যক ধারণা অনেকেরই নেই। নুনের অভাবে ঠিক কী কী ঘটতে পারে?
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নুন আমাদের শরীরে ফ্লুইডের সমতা বজায় রাখে। স্নায়ুতন্ত্র থেকে পেশির সক্রিয়তা সবেতেই নুনের ভূমিকা অপরিহার্য। সম্প্রতি ভারতীয় চিকিৎসক তথা ইনফ্লুয়েন্সর সৌরভ শেট্টি একটি ভিডিও পোস্ট করে এমনই কথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, এক চা চামচের কম পরিমাণ নুন খেলে রক্তচাপের হেরফের নজরে আসা স্বাভাবিক। এমনকী নানারকম জটিল স্বাস্থ্য সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
(১) শরীরে পর্যাপ্ত নুন বা সোডিয়াম না থাকলে বিপাকক্রিয়া বিঘ্নিত হতে পারে। কারণ নুন শরীরের বিভিন্ন রাসায়নিক ক্রিয়া ও হরমোনের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে। এটি মেটাবলিজম সঠিকভাবে চলার জন্য অপরিহার্য। নুনের অভাবে শরীরে তরলের ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং গুরুত্বপূর্ণ এনজাইম ও হরমোনের কার্যকারিতা কমে যায়। এতে বিপাকীয় হার ধীর হয়ে আসে। ফলে, বিপাকহারের সঙ্গে জড়িত সমস্ত রোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
(২) খাদ্য ও তরল থেকে প্রাপ্ত ইলেক্ট্রোলাইট (সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম প্রভৃতি) শরীরে জলীয় ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে তা পুষ্টি বহন করতে ও বর্জ্য অপসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। ফলে কোষ তার কাজ সঠিক ভাবে করতে পারে। ইলেক্ট্রোলাইটের অভাব ঘটলে শরীর তার কাজ সঠিক ভাবে করতে পারে না। এতে নানারকম জটিল শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়।
(৩) পেশি ও স্নায়ুতন্ত্রের কাজ সঠিক ভাবে করার জন্য নুন বা সোডিয়াম একটি গুরুত্বপূর্ন উপাদান। নুন খাওয়া সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ করলে পেশি দুর্বলতা, খিঁচুনি ও স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা দেখা দেয়।
(৪) শরীরে জল ধরে রাখতে নুনের ভূমিকা অপরিহার্য। নুন না খেলে শরীর থেকে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে যেতে পারে। এর ফলে শরীর জলশূন্য হয়ে পড়ে। এতে চূড়ান্ত পর্যায়ে কিডনি ও হৃৎপিণ্ড এমনকী অন্যান্য অঙ্গের ক্ষতি হয়।
