সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘন ঘন জ্বর-সর্দি-কাশিতে ভোগেন? অল্পেই ঠান্ডা লেগে কাবু হন? তাহলেই জানবেন, আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একদমই কম। তবে, ইমিউনিটি বাড়াতে বাজার চলতি ওষুধ না খেয়ে হেঁশেলে থাকা দুটি প্রধান ভেষজের উপরে আপনি আস্থা রাখতেই পারেন। অনেকেই সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ খাওয়ার অভ্যাস করেন। এতে একদিকে যেমন হজমের সমস্যা মেটে। ঠিক তেমনই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে। কেউ কেউ আবার গুড় বা মধুর সঙ্গে কাঁচা হলুদ খেয়ে থাকেন। কিংবা হুলুদ মেশানো দুধ পানের উপকারিতা তো সর্বজনবিদিত। কিন্তু এই সব ব্যতিরেকে আপনি যদি প্রতিদিন সকালে কাঁচা হলুদের সঙ্গে চারটি গোলমরিচ চিবিয়ে খেতে পারেন, তাহলে অসুখ-বিসুখ আপনার থেকে সবসময় দূরে থাকবে। কীভাবে?
কিন্তু কারকিউমিন সহজে রক্তে শোষিত হয় না। এখানেই গোলমরিচের ভূমিকা। গোলমরিচের পাইপেরিন নামক যৌগটি কারকিউমিনকে শরীর দ্বারা শোষণ করার ক্ষমতা প্রায় ২০০০ গুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
কাজেই, যখন আপনি কাঁচা হলুদ ও গোলমরিচ একসঙ্গে খাবেন, তখন কারকিউমিনের সমস্ত রোগ-প্রতিরোধক গুণ শরীর সর্বোচ্চ পরিমাণে ব্যবহার করতে পারে। এই যুগল ভেষজ উপাদান সংক্রমণ ও রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বহু গুণ শক্তিশালী করে তোলে। তাই, বিশেষ করে ঋতু পরিবর্তনের সময় নিয়মিত ভাবে হলুদ-গোলমরিচ খেলে ঠান্ডা লেগে সর্দি-জ্বর হওয়ার আর আশঙ্কা থাকে না। উপরন্তু শরীরের ইমিউনিটি বহু গুণ বেড়ে যায়। এর ফলে অসুখ-বিসুখের হাত থেকে সহজেই রেহাই মেলে।
