সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কম পয়সায় সেরা পুষ্টিকর ফলের মধ্যে পেয়ারার নাম সবার আগে আসে। পেয়ারার মতো উপকারী ফল মেলা দুষ্কর। বলা হয় আপেলের চেয়েও বেশি উপকারী পেয়ারা। তাই, চিকিৎসকেরা প্রতিদিন একটি করে পেয়ারা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এতে শরীরে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি মেটে। শুধু তাই নয়, দেহের ক্ষয় পূরণেও তা যথেষ্ট উপযোগী। তবে আপনি কি জানেন, পেয়ারার পাশাপাশি পেয়ারা পাতা নিয়মিত এক মাস খেলে দারুণ উপকার মিলবে! ঝুঁকি কমবে বিভিন্ন রোগের। কোন কোন রোগের হাত থেকে পেয়ারা পাতা আপনাকে বাঁচাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
(১) পেয়ারা পাতায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল যৌগ থাকে। এগুলি অন্ত্রের খারাপ ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে। ফলে বদহজম ও পেট ফাঁপার মতো সমস্যা কমে।
(২) যারা প্রিডায়াবেটিস বা টাইপ-২ ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাদের জন্য পেয়ারা পাতা আদর্শ। শরীরে গ্লুকোজ শোষণ করে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে পেয়ারা পাতা।
(৩) পেয়ারা পাতায় কোয়ারসেটিন ও ভিটামিন সি-এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে বিশেষ কার্যকরী।
(৪) পেয়ারা পাতায় রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও প্রদাহ বিরোধী গুণ। ফলে ব্রণ বা ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে পেয়ারা পাতা। এমনকী ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও দারুণ কাজ দেয় এই পাতা।
(৫) গবেষণায় দেখা গেছে পেয়ারা পাতার চা নিয়মিত সেবন করলে খারাপ কোলেস্টেরল কমে। এই চা নিয়মিত সেবনে হৃদরোগের ঝুঁকিও অনেকটা কমে আসে।
(৬) পেয়ারা পাতা জটিল কার্বোহাইড্রেটকে চিনিতে রুপান্তরিত হতে বাধা দেয়। ফলে দেহের ওজন কমাতে এই পাতা বিশেষ সহায়ক।
(৭) পেয়ারা পাতা আলসারের রোগীদের জন্য উপকারী। যদিও তা ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
(৮) পেয়ারা পাতার নির্যাস মহিলাদের পিরিয়ডের ব্যথা এবং ক্র্যাম্প কমাতে সাহায্য করে। এটি ব্যথানাশক ওষুধের মতোই কাজ করে, তবে এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
