সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কখনও খেলতে খেলতে আবার কখনও আচমকাই ডেকে ওঠে পোষ্য। নিশ্চয়ই ভাবেন, কেন ডাকছে? কী বলতে চাইছে? কিন্তু বুঝে উঠতে পারেন না। তাই নিজেদের মতো করে শান্ত করার চেষ্টা করেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক, মূলত কোন পাঁচটি কারণে হাঁকডাক করে বাড়ির চারপেয়ে সদস্য। জেনে নিন সামলানোর পদ্ধতি।
১. কিছু দেখে আচমকা ডেকে ওঠা: কোথাও কিছু নেই, আচমকা সে ডেকে উঠল। আপনি কথা বলে হয়তো সামাল দেওয়ার চেষ্টাও করলেন। কিন্তু সারমেয় তো থামার নয়। জানেন কি সে আপনাকেই বার্তা দিতে চাইছে? আচমকা অন্যরকম কিছু নজরে পড়লে বা টের পেলে, হতে পারে নতুন মানুষ বা অন্যকিছু, তাতে ডেকে ওঠে পোষ্য। আপনি যদি তাতে গুরুত্ব না দেন, তাহলে চিৎকারের তীব্রতা বাড়াবে সে।
কী করবেন?
আচমকা পোষ্য ডেকে উঠলে বোঝার চেষ্টা করুন, সে কী দেখেছে।
২. অধিকার বোধ থেকে চিৎকার: কখনও কখনও অধিকার বোধ থেকে ডেকে ওঠে পোষ্য। হয় নিজের এলাকায় ঢুকে পড়েছে অন্য চারপেয়ে। সেক্ষেত্রে ডেকে ওঠে তারা। অনেক সময় দেখবেন পথ কুকুররাও তারস্বরে ডেকে ওঠে। কারণ, এলাকার রাশ, অধিকার বোধ। তবে শুধু রাগ নয়, কখনও কখনও ভয় পেয়েও ডেকে ওঠে তাঁরা।
কী করবেন?
বোঝার চেষ্টা করুন, সে কার গতিবিধি দেখে চিৎকার করছে।
৩. খেলতে খেলতে ডেকে ওঠা: খেলতে খেলতে কখনও তীব্রভাবে, কখনও আবার শান্ত ভঙ্গিতে ডেকে ওঠে প্রিয় পোষ্য। ঘন ঘন ল্য়াজ নাড়াতে থাকে। ঠিক যেমন ছোট্ট শিশুরা খেলার মাঝে অনেক কিছু বলতে চায়, তেমন ভাবেই চারপেয়েরাও বলতে চায় অনেক কথা। বোঝাতে চায় মনের ভাষা।
কী করবেন?
যদি দেখেন পোষ্য খেলার মাঝে অত্যাধিক মাত্রায় চিৎকার করছে, আক্রমণাত্মক হয়ে যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে দিনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে ওদের নিয়ে হাঁটতে বের হন। মাথায় রাখবেন, এটা ওদের ব্যায়ামের মতোই।
৪. কোনও কিছু আদায়ের দাবিতে চিৎকার: বাচ্চারা যেমন কোনও কিছু আদায় করতে কান্নাকাটি করে, ওরাও কিন্তু তেমনই। অনেক সময়ই আপনার হাতের খাবারের জন্য, খেলনা বা অন্য যে কোনও পছন্দের জিনিস আদায়ের জন্য ডাকাডাকি শুরু করে তারা। শুধু ডাক নয়, ওদের চোখে নজর রাখলেও সহজেই বুঝতে পারবেন ওরা কী বলতে চাইছে।
কী করবেন?
দাবি পূরণ না হলে হতাশ হয়ে যায় চারপেয়েরাও। মন খারাপ হয় ওদেরও। তাই চেষ্টা করুন ওদের খেলাধুলোর মধ্যে রাখার।
৫. একাকীত্ব থেকে চিৎকার: ওয়াইফাই ছাড়া কিশোর-কিশোরী যেভাবে কষ্ট পায়, একা থাকলে ঠিক ততটাই মনকষ্টে ভোগে চারপেয়েরা। মাথায় রাখবেন মানবসঙ্গ পেতে ওরা ভীষণ ভালোবাসে। একা থাকা তাদের না পসন্দ। তাই দেখবেন, আপনি সেজেগুজে বেরনোর প্রস্তুতি নিলেই ওরা চেষ্টা করে অনেক কিছু বোঝানোর। ডাকাডাকি করতে শুরু করে। জেনে রাখুন, এটা ভয় থেকে নয়। একাকীত্বের দুঃখেই এই ডাকাডাকি।
কী করবেন?
চেষ্টা করবেন ওদের একদম একা বাড়িতে না রাখার।
