সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আপনি কী স্নান করে বেরনো মাত্রই ঘামেন? কিংবা একটু হাঁটাচলা বা কাজ করলে? আর পুজোর সময় ভিড় ঠেলে ঠাকুর দেখার লাইনে দাঁড়ালো তো কথাই নেই। নতুন পোশাক ভিজে চুপচুপে। যাকে বলে একেবারে ঘেমে স্নান। ত্বকের নিচের তাপই ঘাম আকারে বেরিয়ে আসে। প্যাচপ্যাচে ঘামের সঙ্গে জীবাণুর যোগাযোগে দুর্গন্ধ তৈরি হয়। সহজেই ক্লান্তিবোধ আসে। আবার সাজগোজও নষ্ট হয়ে যায়। তবে জানেন কি কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে, এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। জেনে নিন সেসব সহজ উপায়।
* প্রথমেই আসা যাক খাদ্যাভ্যাসের কথায়। চিকিৎসকদের মতে, যাঁরা জল কিংবা তরল জাতীয় খাবার কম খান তাঁদের ত্বকের নিচে বেশি পরিমাণ তাপ সঞ্চিত হয়। যার ফলে ঘামও বেশি হয়। তাই শরীরকে আর্দ্র রাখা ঘাম কম হওয়ার প্রথম শর্ত। সুতরাং চিকিৎসকের পরামর্শ মতো বেশি করে জল খান। তরল খাবার খেলেও চলবে। তাতে ঘাম কম হবে।
* অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে ফ্যাট জাতীয় খাবার কম খান। কেক, চিপস ভুলেও খাবেন না।
* খাদ্য তালিকায় অবশ্যই যোগ করতে পারেন অলিভ অয়েল। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ অলিভ অয়েল আপনার হজম ক্ষমতাকে বাড়াতে সাহায্য করে।
* বেশি তেলমশলাযুক্ত খাবার খাবেন না। হালকা খাবার খেতে চেষ্টা করুন। অবশ্যই সবজি, ফল এবং দই খেতে ভুলবেন না।
* অ্যাপেল সিডার ভিনিগার ঘাম কমাতে সাহায্য করে। তুলোয় অ্যাপেল সিডার ভিনিগার লাগিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে ঘষে নিতে পারেন। তাতে অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।
* মদ্যপান কিংবা ধূমপানের মতো বদভ্যাস ত্যাগ করুন। ধূমপানের ফলে শরীরে কেমিক্যাল অ্যাসিটাইক্লোলিন নির্গত হয়। আর যা ঘামকূপের মুখ খুলে দেয়। দেহের তাপ এবং রক্তচাপ বেড়ে যায়। তার ফলে ঘামও হয় অনেক বেশি।
* মানসিক উদ্বেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আর তা করতে পারলে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। প্রতিদিন নিয়ম মেনে যোগব্যায়াম করতে পারেন। ধ্যান অভ্যাসও করতে পারেন।
* বহু মহিলার সমস্যা মেকআপের পরেই ঘাম বেশি হয়। তাঁরা অনেকে এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে বোটক্স করিয়ে নেন। যা বেশ ব্যয়বহুল।
* অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পর্যাপ্ত ঘুমও অত্যন্ত প্রয়োজন। সারাদিনে কমপক্ষে ৮-৯ ঘণ্টা টানা ঘুম দরকার।
* অবশ্যই সুতির নরম পোশাক পরুন। ভুলেও অন্য কোনও ধরনের কাপড়ের পোশাক পরবেন না। তাতে ঘাম হওয়ার সমস্যা আরও বাড়বে। সঙ্গে দুর্গন্ধের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
* নিয়মিত ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করতে পারেন। অবশ্যই স্নান করে উঠে ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করতে হবে। নইলে সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব নয়।