সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঋতু বদলের মরসুম। দ্রুত পালটে যাচ্ছে তাপমাত্রা। ঠান্ডা পড়তেও শুরু করেছে। এই সময় সর্দি-কাশি-জ্বরে ভুগতে দেখা যায় বেশিরভাগ মানুষকে। ঋতু বদলের সময় এমনিতেও মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাছাড়া এই সময়েই ভাইরাস জনিত রোগের প্রকোপ বাড়ে। তাই, শুধু জ্বর-সর্দি ভেবে কেউ কেউ ভুল করেন। সর্দিকাশির সঙ্গে নিউমোনিয়াকে গুলিয়ে ফেললেই সমস্যা। কোন লক্ষণ দেখে জানবেন নিউমোনিয়া হয়েছে কি না?
নিউমোনিয়া হল ফুসফুসের রোগ। ফুসফুসের ক্ষুদ্র বায়ুথলি বা অ্যালভিওলি ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত হয়। সেখানে পুঁজ জমতে থাকলে অক্সিজেন গ্রহণ করা কষ্টকর হয়ে ওঠে। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি শ্বাসকষ্টে ভোগেন। নিউমোনিয়া সাধারণত তিন ধরনের জীবাণু দ্বারা ছড়াতে পারে। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক। সাধারণত সংক্রমিত ব্যক্তির হাঁচি-কাশি থেকেই এই রোগ ছড়ায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাদের কম, তাদের ক্ষেত্রে এই রোগের ঝুঁকি বেশি। ঠিক কোন কোন লক্ষণ দেখে রোগ চিনবেন?
১) কাঁপুনি দিয়ে জ্বর দখা দেবে।
২) একটানা কাশি হবে। শুরুতে শুকনো কাশি হলেও পরে হলদে, সবুজ বা কখনও কখনও রক্তের ছিটেযুক্ত কফ বের হতে পারে।
৩) স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। দ্রুত কিংবা ছোট ছোট শ্বাস নেওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়।
৪) বিশেষ করে জোরে শ্বাস নেওয়ার সময় বা কাশির সময় বুকে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়। এই ব্যথাকে বলে প্ল্যুরিসি। ৫) হৃদপিণ্ডের স্পন্দন বা পালস রেট স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক গুণ বেড়ে যায়।
৫) সামান্য কাজ করলেই হাঁপানি দেখা দেয়। শরীরে অত্যধিক ক্লান্তি ও দুর্বলতা থাকে।
৬) রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলে ঠোঁট ও নখের রং নীলচে হয়ে যেতে পারে।
৭) মাথাব্যথা এবং সারা শরীরে, বিশেষ করে পেশিতে ব্যথা বাড়ে।
৮) পেট খারাপ, বমি ভাব বা হজমের সমস্যা হতে পারে।
এই লক্ষণগুলো দেখা গেলে অবহেলা করে ফেলে রাখবেন না। দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাবেন।
