রমেন দাস: একটা, দুটো অথবা শতাধিক নয়, মহিলার পেট থেকে প্রায় হাজারখানেক পাথর বের করে তাক লাগালেন চিকিৎসকরা। টালিগঞ্জের এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে (M R Bangur Hospital) হল এই ‘কঠিন’ অস্ত্রোপচার। প্রায় ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় ওই মহিলার গলব্লাডারের ‘পাহাড়’ ভাঙলেন হাসপাতালের শল্য বিভাগের চিকিৎসকরা।
জানা গিয়েছে, ৪৫ বছর বয়সি ওই রোগিণীর বাড়ি টালিগঞ্জের হরিদেবপুর এলাকায়। বেশ কয়েক মাস ধরেই পেটের যন্ত্রণায় ভুগছিলেন তিনি। মাস দুয়েক আগে পেটে যন্ত্রণা এবং বমির উপসর্গ নিয়ে এম আর বাঙ্গুরে আসেন তিনি। রোগীর উপসর্গ দেখেই কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা। কিন্তু রিপোর্ট হাতে আসতেই তাজ্জব বনে যান তাঁরা! দেখা যায়, ওই মহিলার গলব্লাডারে অস্বাভাবিক পরিমাণে পাথর জমেছে। ছোট, বড় মিলিয়ে সেই সংখ্যাটা বহু।
এরপরেই নেওয়া হয় অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত। ৩ জুন ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। এদিন অর্থাৎ ৫ জুন দুপুর দেড়টা নাগাদ হয়েছে সেই অস্ত্রোপচার। যে দলে ছিলেন শল্য চিকিৎসক নিলয় নারায়ণ সরকার, শল্য চিকিৎসক জয়দীপ রায়। এছাড়াও ওই অস্ত্রোপচারের সময় উপস্থিত ছিলেন অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের চিকিৎসক বিএন দাস, অঙ্কিত পাঁজা।
কেমন ছিল এই অপারেশন? কেন কঠিন? এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালের (M R Bangur Hospital) শল্য চিকিৎসক নিলয় নারায়ণ সরকার বলছেন, ‘এই ধরনের কেস আমাদের কাছে বহু আসে। কিন্তু এই বিষয়টি অর্থাৎ রোগীর গলব্লাডারে এতগুলো পাথর খুব কম পাওয়া যায়। গুণে শেষ করা যাচ্ছিল না, এত পাথর ছিল! অপারেশন তো বটেই, রোগীর শরীরে অন্যান্য ইনফেকশনের একটা ঝুঁকি থেকে যায় এই সমস্ত ক্ষেত্রে।’ ওই চিকিৎসক বলছেন, ‘ডাঃ জয়দীপ রায়, অ্যানাস্থেশিয়া টিম এবং আমাদের নার্সিং স্টাফ থেকে শুরু করে স্নাতকোত্তর পড়ুয়ারা। সবাই মিলে নিজেদের পরিকাঠামোর মধ্যেই এই অপারেশন করেছি। রোগী এখন স্থিতিশীল। এই সংক্রান্ত বিষয়ে আমাদের হাসপাতালের সুপার স্যর চিকিৎসক শিশিরকুমার নস্কর অনেক সহযোগিতা করেছেন।’
