সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন দিন বেড়ে চলেছে ডায়াবেটিসের সমস্যা। ঘরে ঘরে এই রোগের আধিক্য ক্রমশ বাড়ছে। চিকিৎসার অভাব ও নিয়ম না মেনে চলায় ডায়াবেটিস অনেকসময় ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে তা থেকে বাড়তে পারে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। এমনকী চোখ বা কিডনির সমস্যাতেও ভোগার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তাই আগেভাগে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে না চললে ঘটতে পারে সমূহ বিপদ। শুধু ওষুধের উপর ভরসা করলে চলবে না, খাদ্যাভাস ও শরীরচর্চার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে ওষুধের পাশাপাশি প্রাকৃতিক উপাদানগুলিকেও পথ্য হিসেবে ব্যবহার করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এমনই এক পথ্য কালোজাম। পুষ্টিবিদেরা এই ফলটিকে ডায়েটে রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কালোজামের বীজ ওষুধের মতো কাজ করে।
কালোজামের শাঁসের চেয়েও বেশি উপকারী এই ফলের বীজ। জামের বীজে জাম্বোসিন ও জাম্বোলিন নামে যৌগ থাকে। এই উপাদানগুলি ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে রক্তে শর্করার মাত্রাকে কমিয়ে আনে। এমনকী সুগার রোগীর ঘনঘন প্রস্রাব ও তৃষ্ণার প্রবণতা কমাতেও এর জুরি মেলা ভার। এছাড়া কালোজামে রয়েছে ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী। জামের বীজে থাকা পলিফেনল হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। একইসঙ্গে তা ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
কীভাবে খাবেন?
(১) জাম থেকে বীজ আলাদা করে রাখুন।
(২) বীজগুলোকে ভালো করে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। অন্তত ৩-৪ দিন ধরে শুকনো করুন।
(৩) বীজগুলি শুকিয়ে নিয়ে বীজের ভিতরের সবুজ অংশটি বের করে নিন।
(৪) বীজের এই ভিতরের অংশ আবার রোদে শুকনো করুন।
(৫) ভালো মতন শুকিয়ে গেলে তা পিষে গুঁড়ো করুন। এই গুঁড়ো কোনও কাচের ছোট পাত্রে ভালো করে মুখবন্ধ করে রাখুন।
(৬) রোজ সকালে খালি পেটে এক গ্লাস জলে এক-চা চামচ বীজ গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন। আপনি চাইলে দুধের সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন। তবে মনে রাখবেন, এই পানীয় অবশ্যই সকালে খালি পেটে নিতে হবে।
