সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিনটা ১৪ নভেম্বর। শিশু দিবস ছাড়াও আরও একটি বিশেষ কারণে আজকের দিনটি গুরুত্বপূর্ণ। গোটা পৃথিবী জুড়ে আজ পালিত হচ্ছে ডায়াবেটিস দিবস। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ-এর সাম্প্রতিক তথ্য উদ্বেগ জাগানোর মতো। সমীক্ষায় দেখ গিয়েছে ভারতে মোট জনসংখ্যার প্রায় ১১.৪ শতাংশ মানুষই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। আর ডায়াবেটিসে আক্রান্তের মোট সংখ্যার ভিত্তিতে বিশ্বে ভারতের স্থান একদম শীর্ষে। বিশ্ব জুড়ে বেড়ে চলা ডায়াবেটিস মোকাবিলা ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য আজকের দিনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
ডায়াবেটিসের কোনও ছিরিছাঁদ নেই। বাবা-মায়ের থাকলে তা যেমন বংশ পরম্পরায় ছেলেমেয়েদেরও হতে পারে। তেমনই অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা কিংবা বেখাপ্পা লাইফস্টাইলের ফাঁদে পড়েও আক্রান্ত হতে পারেন এই রোগে। তবে ডায়াবেটিস সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও অন্য রোগকেও ডেকে আনে। শরীরের অভ্যন্তরে তৈরি করে হাজারো সমস্যা। ফলে, রোগটি সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে।
বেশি কিছু নয়! প্রতিদিনের জীবনে ছ'টি অভ্যাস গড়ে তুললেই আপনি রোগটি থেকে দূরে থাকবেন। কীভাবে? সেই উপায়ই বাতলে দিয়েছেন 'নিরা ব্যালেন্স'-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং চিফ সায়েন্স অফিসার রিতেশ বাওরি। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য এই অভ্যাসগুলি আয়ত্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
(১) পেশি হল শরীরের প্রাকৃতিক গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রক। তাই পেশির ব্যায়াম নিয়মিত করুন। এতে শরীরের গ্লুকোজ রক্তে সহজেই মিশে যেতে পারবে।
(২) খাওয়া-দাওয়ার পর মাত্র দশ মিনিট হাঁটুন। এর ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা ম্যাজিকের মতো নিয়ন্ত্রিত হবে। পেশির নড়াচড়া গ্লুকোজকে শক্তিতে রুপান্তরিত করে।
(৩) কঠোর ডায়েটের প্রয়োজন নেই। পরিবর্তে সচেতন থাকুন। যে খাবারগুলি রক্তে গ্লুকোজ বেশি পরিমাণে বাড়ায় সেগুলি এড়িয়ে চলুন।
(৪) বিভিন্ন ধরণের ফাইবার-সমৃদ্ধ খাবার (ডাল, ফল, সবজি) পেটের ভালো ব্যাকটেরিয়াকে পুষ্টি জোগায়। এই ব্যাকটেরিয়াগুলি মেটাবলিজম এবং শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাই আপনি কী খাচ্ছেন তার উপরই নির্ভর করে আপনার ভালো থাকার চাবিকাঠি।
(৫) ভালো ঘুম না হলে ইনসুলিন ভালো ভাবে কাজ করতে পারে না। রক্ত থেকে গ্লুকোজকে কোষে প্রবেশ করিয়ে শক্তি উৎপাদনে ব্যর্থ হয়। তাই পর্যাপ্ত ও ভালো ঘুমের অভ্যাস দরকার।
(৬) দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ কর্টিসল হরমোন নিঃসরণ করে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ধ্যান বা যোগাভ্যাসের মাধ্যমে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। অযথা দুশ্চিন্তা করবেন না। মনকে সবসময় শান্ত রাখার চেষ্টা করুন।
