সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাইরে বৃষ্টি। ঘরে গরম। এই সময়ে বাড়ির খুদে সদস্যদের শরীর খারাপের সম্ভাবনা অনেক বেশি। আবার এই মরশুমেই মাথাচাড়া দিয়েছে হ্যান্ড, ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ বা HFMD। সম্প্রতি কলকাতা-সহ গোটা বাংলার পাশাপাশি দিল্লি, হরিয়ানাতেও এই জীবাণু সংক্রমণের প্রকোপ বেড়েছে। বেশি সংখ্যক শিশু যেখানে জড়ো হয়, সেখান থেকে এই ধরনের সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি। এই সংক্রমণ থেকে রেহাই পাওয়ার কোনও ওষুধ নেই। তার ফলে আক্রান্ত শিশুকে কষ্ট ভোগ করতে হয় কমপক্ষে ৩-৪ দিন। তাই নিজের পরিবারের খুদে সদস্যকে সাবধানে রাখুন।
কীভাবে বুঝবেন আপনার খুদে হ্যান্ড, ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজে আক্রান্ত?
* সর্দি, কাশি নেই। অথচ আচমকা খুদের জ্বর আসতে পারে।
* জিভ-সহ মুখের ভিতরে ছোট লাল লাল দানা বেরতে পারে।
* হাত, পা-সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে জলভরা লাল দানা বেরতে পারে।
* গোটা শরীরে মৃদু জ্বালাভাব।
* গোটা শরীরে যন্ত্রণা।
* রাতে ঘুমোতে সমস্যা।
* অতিরিক্ত ক্লান্তিভাব।
কীভাবে ছড়ায় হ্যান্ড, ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ বা HFMD?
* একই জায়গায় অনেক খুদে থাকলে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
* আক্রান্ত শিশুর হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়াতে পারে এই রোগ।
* আক্রান্ত শিশুর থেকে খাবার খেলে এই সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
* আক্রান্ত শিশুর খেলনা, বই, পোশাক ব্যবহার করলে সংক্রমণ হতে পারে।
আক্রান্ত শিশুকে কীভাবে রাখা উচিত?
* জ্বর কিংবা গোটা শরীরে লাল দানা দেখা দিলেই খুদেকে আলাদা রাখুন।
* খুদে কোনও জিনিসে হাত দেওয়ার আগে, পরে স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
* হাঁচি, কাশি কিংবা শৌচালয় যাওয়ার পর আক্রান্ত শিশুর হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে দিন। কমপক্ষে ২০-৩০ সেকেন্ড হাত ঘষে ঘষে ধুয়ে দিন।
* শিশু যেগুলি হাত দেয় যেমন - খেলনা, টেবিলে স্যানিটাইজার দিয়ে দিন।
* আক্রান্ত শিশুকে গরম, মশলাদার খাবার দেবেন না। পরিবর্তে ঠান্ডা দুধ, স্মুদি, খিচুড়ি খাওয়ান।
* বেশি করে জল খাওয়ান। ডাবের জল কিংবা স্যুপ জাতীয় খাবার খাওয়া।
হ্যান্ড, ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ সংক্রান্ত আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
* হ্যান্ড, ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ পুরোপুরি সারতে কমপক্ষে ৭-১০ দিন সময় লাগবে।
* যদি খুদের জ্বর, ক্লান্তিভাব বাড়ে কিংবা পেটের সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেই। নইলে আরও বাড়তে পারে সমস্যা।
