সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঠোঁটে ঠোঁট ছোঁয়াবার আগে একটু থামুন। হুড়মুড়িয়ে চুমু খেলেই হল না। 'চুমু' খাওয়াটা সামান্য মনে হলেও আদপে তা চাপের ব্যাপার। চাপ কীসে? আছে মশাই, আছে। আপনার এক চুমুতেই শরীরে সিঁধ কাটতে পারে এপস্টাইন-বার ভাইরাস। তাই, চুমু খাওয়ার আগে এবার থেকে সচেতন থাকুন। কারণ, একটা চুমুই আপনার জন্য হয়ে উঠতে পারে বিপজ্জনক। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই রোগের নাম 'মনোনিউক্লিওসিস'। তবে, এই রোগের ডাক নাম কিসিং ডিজিজ।
কী কী লক্ষণ দেখা যায়?
শরীরে ভাইরাস প্রবেশের ৪ থেকে ৭ সপ্তাহের মধ্যে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। কী কী লক্ষণ?
১. দু'সপ্তাহের বেশি জ্বর।
২. গলা ব্যথা ও টনসিল ফুলে যাওয়া।
৩. শরীরে তীব্র ক্লান্তি ভাব।
৪. ঘাড়ে এবং বগলে লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া।
৫. পেশিতে অসম্ভব ব্যথা।
৬. খিদে না পাওয়া ও বমি বমি ভাব।
৭. ত্বকে র্যাশ।
কোন ক্ষেত্রে এটি ক্ষতিকর?
এই অসুখকে কোনও ভাবেই ফেলে রাখা উচিত নয়। এতে বিপদ বাড়ার সম্ভাবনা। যেমন কিছু ক্ষেত্রে প্লীহা কিংবা যকৃত বড় হয়ে উঠতে পারে। এক্ষেত্রে প্লীহা ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া এই ভাইরাস স্নায়ুতন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতি করে। ফলে মেনিনজাইটিস, এনসেফালাইটিস প্রভৃতি রোগের ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়া শ্বাসনালী বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতেও পারে। তাই, চুমু খাওয়ার আগে সর্বদা সচেতন থাকুন।
চিকিৎসা
কোনও অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ এই ভাইরাসকে কাবু করতে পারে না। তাই রোগটির চিকিৎসা করা বেশ কঠিন। তবে, সঙ্গীর শরীরে এই ধরনের কোনও উপসর্গ দেখা দিলে আপনাকে আগেভাগে সাবধান হতে হবে। এমন অবস্থায় চুমু খাওয়া যাবে না। এমনকী রোগীর হাঁচিকাশির মাধ্যমেও ছড়াতে পারে এই রোগ। শুধু তাই নয়। রোগীর ব্যবহার করা জলের বোতল, প্লেট, গ্লাস, চামচ প্রভৃতি এড়িয়ে চলতে হবে। এই সময় রোগীকে প্রচুর পরিমানে জল পান করতে হবে। রোগের লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসক চিকিৎসা করে থাকেন।
