shono
Advertisement
Kissing Disease

সঙ্গীর চুম্বনে উপহার 'কিসিং ডিজিজ'? রোগের লক্ষণ চিনে আগেভাগে সতর্ক হোন

জানেন কি কোন কোন ক্ষেত্রে রোগটি ভয়ংকর হয়ে ওঠে?
Published By: Buddhadeb HalderPosted: 02:25 PM Nov 20, 2025Updated: 03:50 PM Nov 20, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঠোঁটে ঠোঁট ছোঁয়াবার আগে একটু থামুন। হুড়মুড়িয়ে চুমু খেলেই হল না। 'চুমু' খাওয়াটা সামান্য মনে হলেও আদপে তা চাপের ব্যাপার। চাপ কীসে? আছে মশাই, আছে। আপনার এক চুমুতেই শরীরে সিঁধ কাটতে পারে এপস্টাইন-বার ভাইরাস। তাই, চুমু খাওয়ার আগে এবার থেকে সচেতন থাকুন। কারণ, একটা চুমুই আপনার জন্য হয়ে উঠতে পারে বিপজ্জনক। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই রোগের নাম 'মনোনিউক্লিওসিস'। তবে, এই রোগের ডাক নাম কিসিং ডিজিজ।

Advertisement

সঙ্গীর ঠোঁটে ঠোঁট চেপে ধরার সময় সংক্রমিত হতে পারেন ইপস্টেইন বার ভাইরাসে। মনোনিউক্লিওসিস খুব দ্রুত একজনের থেকে অন্যজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এক্ষেত্রে সংক্রমিত ব্যক্তির লালার মাধ্যমে অপর ব্যক্তির শরীরে রোগটি ছড়ায়। সাধারণত এই রোগে আক্রান্ত বেশিরভাগই প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় খুব একটা শারীরিক সমস্যা দেখা যায় না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মনোনিউক্লিওসিস ২ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে নিজে থেকেই সেরে যায়। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এই ভাইরাস বড় বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে। কীভাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

কী কী লক্ষণ দেখা যায়?
শরীরে ভাইরাস প্রবেশের ৪ থেকে ৭ সপ্তাহের মধ্যে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। কী কী লক্ষণ?
১. দু'সপ্তাহের বেশি জ্বর।
২. গলা ব্যথা ও টনসিল ফুলে যাওয়া।
৩. শরীরে তীব্র ক্লান্তি ভাব।
৪. ঘাড়ে এবং বগলে লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া।
৫. পেশিতে অসম্ভব ব্যথা।
৬. খিদে না পাওয়া ও বমি বমি ভাব।
৭. ত্বকে র‍্যাশ।

কোন ক্ষেত্রে এটি ক্ষতিকর?
এই অসুখকে কোনও ভাবেই ফেলে রাখা উচিত নয়। এতে বিপদ বাড়ার সম্ভাবনা। যেমন কিছু ক্ষেত্রে প্লীহা কিংবা যকৃত বড় হয়ে উঠতে পারে। এক্ষেত্রে প্লীহা ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া এই ভাইরাস স্নায়ুতন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতি করে। ফলে মেনিনজাইটিস, এনসেফালাইটিস প্রভৃতি রোগের ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়া শ্বাসনালী বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতেও পারে। তাই, চুমু খাওয়ার আগে সর্বদা সচেতন থাকুন।

চিকিৎসা
কোনও অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ এই ভাইরাসকে কাবু করতে পারে না। তাই রোগটির চিকিৎসা করা বেশ কঠিন। তবে, সঙ্গীর শরীরে এই ধরনের কোনও উপসর্গ দেখা দিলে আপনাকে আগেভাগে সাবধান হতে হবে। এমন অবস্থায় চুমু খাওয়া যাবে না। এমনকী রোগীর হাঁচিকাশির মাধ্যমেও ছড়াতে পারে এই রোগ। শুধু তাই নয়। রোগীর ব্যবহার করা জলের বোতল, প্লেট, গ্লাস, চামচ প্রভৃতি এড়িয়ে চলতে হবে। এই সময় রোগীকে প্রচুর পরিমানে জল পান করতে হবে। রোগের লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসক চিকিৎসা করে থাকেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • আপনার এক চুমুতেই শরীরে সিঁধ কাটতে পারে এপস্টাইন-বার ভাইরাস।
  • এক্ষেত্রে সংক্রমিত ব্যক্তির লালার মাধ্যমে অপর ব্যক্তির শরীরে রোগটি ছড়ায়।
  • কিছু ক্ষেত্রে এই ভাইরাস বড় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
Advertisement