সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আপনার ত্বক শীতের রুক্ষতায় হঠাৎ করে খসখসে হয়ে উঠেছে? লালচে ভাব কিংবা ফোসকা পড়া, চুলকানির লক্ষণ দেখা দিয়েছে? এগজিমা নয় তো? ত্বকের পরিচিত অসুখের মধ্যে এটি একটি। সাধারণত জেনেটিক ও পরিবেশগত কারণে হয়। শীতকালে ঠান্ডা ও শুষ্ক বাতাসে আর্দ্রতা কমে যায়। ফলে ত্বকে জলের পরিমাণ কমতে থাকে। এছাড়াও, বাতাস অতিরিক্ত শুষ্ক থাকায় এই সময় ত্বকের প্রাকৃতিক সুরক্ষা স্তর দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে এগজিমার প্রকোপ বেড়ে যায়। আপনার পরিবারে যদি আগে কারও এগজিমা হয়ে থাকে, তাহলে এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি। রোগের একেবারে প্রাথমিক স্তরে চিকিৎসা করলে দ্রুত সেরে ওঠা সম্ভব। নাহলে এগজিমা সম্পূর্ণ সেরে উঠতে বেশ সময় লাগে। ত্বকের এই অসুখ কখনও কমে, কখনও বাড়ে। যাঁদের এই অসুখ রয়েছে, তাঁরা শীতের শুরুতেই সাবধান হোন। জেনে নিন আগাম কী কী ব্যবস্থা নেবেন?
(১) ত্বককে আর্দ্র রাখতে প্রতিদিন কমপক্ষে দুবার, স্নানের পরপর এবং রাতে ঘুমানোর আগে, ময়েশ্চারাইজার বা ক্রিম ব্যবহার করুন। পেট্রোলিয়াম জেলি বা অয়েল-বেসড মলম ব্যবহার করলে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায়।
(২) গরম জল এড়িয়ে চলুন। ঈষদুষ্ণ জলে ১০-১৫ মিনিটের বেশি স্নান করবেন না। স্নানের পর ত্বক তোয়ালে দিয়ে ঘষে না মুছে, আলতো করে চাপ দিয়ে জল মুছে নিন।
(৩) শীতকালে উলের পোশাল এড়িয়ে চলুন। এতে চুলকানি বাড়তে পারে। প্রথমে সুতির পোশাক পরে তার ওপরে গরম কাপড় পরুন।
(৪) সুগন্ধি বা রাসায়নিক যুক্ত সাবান বা কড়া ডিটারজেন্ট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
(৬) শীত শুরু হওয়ার আগেই একবার ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নিন। প্রয়োজনে তিনি স্টেরয়েড ক্রিম বা অন্যান্য ওষুধের ব্যবস্থাপত্র দিতে পারেন।
