সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডায়াবেটিস ধরা পড়লে ওষুধ না খেয়ে উপায় নেই। তবে এই রোগের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ওষুধে সুরাহা মেলে না। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সঠিক নিয়ম মেনে চলতে হয়। প্রতিদিন সকালে উঠে হালকা ব্যায়াম বা হাঁটা, খাওয়া-দাওয়ায় বিশেষ সচেতনতা, এমনকী পর্যাপ্ত ঘুম প্রভৃতি সঠিক ভাবে মেনে চললে সবটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
কিন্তু রক্তে শর্করার পরিমাণ যেমন অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া ভালো নয়, ঠিক তেমনই হঠাৎ করে কমে যাওয়ায় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যাওয়ার এই ঘটনাকে চিকিৎসার পরিভাষায় 'হাইপোগ্লাইসেমিয়া' বলে। এই সমস্যায় কেউ আক্রান্ত হলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় ঘটে যেতে পারে বড়সড় বিপদ। হার্ট অ্যাটাক থেকে শুরু করে কোমাতেও চলে যেতে পারেন রোগী। তাই, রক্তে শর্করার মাত্রা জানতে পরীক্ষা করা জরুরি।
১. হাত-পা কাঁপতে থাকবে।
২. বমি পাওয়া ও দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাবে।
৩. ঠান্ডা লেগে কাঁপুনি দেখা দিতে পারে।
৪. শরীরে দুর্বলতা তৈরি হয়। নড়াচড়ার শক্তি থাকে না।
৫. হঠাৎ করে কপালে বা মাথায় ঘাম দেখা দেয়।
রক্তে শর্করার মাত্রা কমে গেলে কী করবেন?
রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ কমে গেলে তা যথেষ্ট বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই সবার আগে পরীক্ষা করে জানুন, সেই মুহূর্তে রক্তে শর্করার মাত্রা কত? ৭০ এককের নিচে নামলেই রোগীকে মধু, লজেন্স বা মিষ্টি খাইয়ে দিন। কিছু না পেলে নকুলদানা বা চিনি দিন। এরপর ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। আবারও রক্ত পরীক্ষা করুন। রক্তে শর্করার মাত্রা যদি ৭০-এর উপরে উঠে যায়, তাহলে সমস্যা নেই। আর যদি না কমে তাহলে পুনরায় ১৫ গ্রাম চিনি বা মিষ্টি দিয়ে আবার ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রোগী ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে যান। যদি এই পদ্ধতিতে কোনও লাভ না হয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
