সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অফিসের ডেডলাইন, টার্গেটের পাহাড়। অনেকের আপনার সম্পর্কেও রয়েছে টানাপোড়েন। তার ফলে যত দিন যাচ্ছে, ততই সাধারণ মানুষকে গ্রাস করছে মানসিক অবসাদ। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে যোগচর্চার উপর ভরসা রাখেন অনেকেই। নিয়ম মেনে প্রতিদিন যোগচর্চা করেন তাঁরা। তবে জানেন কি শুধু আপনি নন, নিয়মিত যোগচর্চার মাধ্যমে পরিবেশকেও রোগমুক্ত করতে পারেন আপনি। অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। জেনে নিন কীভাবে তা সম্ভব।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যোগচর্চা যে শুধু স্বাস্থ্যোন্নতিতে সাহায্য করে তা নয়। আমাদের সচেতনতা বাড়াতেও সাহায্য করে। আবার সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারি আমরা। তাই যোগচর্চার মাধ্যমে নিজের রোগমুক্তির পাশাপাশি পৃথিবীকেও আরও সুস্থ করে তোলা সম্ভব। এই ধরনের যোগচর্চাকে 'ইকো য়োগা' বলে।
কোন কোন ধরনের 'ইকো য়োগা'য় অভ্যস্ত হওয়া প্রয়োজন?
হিলিং ওয়াক:
ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে খালি পায়ে ঘাসের উপর হাঁটুন। দু'দিকে হাত ছড়িয়ে ২-৩ মিনিট জোরে জোরে শ্বাস নিন। এই পদ্ধতিতে শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যোন্নতি সম্ভব।
অধোমুখ শবাসন:
হাতের তালু এবং পায়ের পাতার উপর ভর করে নিচের দিকে মুখ নামিয়ে টানটান হয়ে দাঁড়ান। তাতে দেহে রক্ত সঞ্চালন পদ্ধতির উন্নতি হবে।
সেতুবন্ধাসন:
একটি ম্যাট পাতুন। দু'টি পা ভাঁজ করে ঘাড় এবং পায়ের পাতার উপর ভর করে কোমর তুলে শোওয়ার চেষ্টা করুন। এভাবে ১০ সেকেন্ড থাকলে শিরদাঁড়া এবং হৃদযন্ত্রের উন্নতি হবে।
বৃক্ষাসন:
এক পায়ের উপর ভর দিয়ে সোজা হয়ে গাছের মতো দাঁড়ান। একটানা ৫ সেকেন্ড এভাবে দাঁড়াতে পারলে শরীরের ভারসাম্য রক্ষার ক্ষমতা বাড়বে। ধৈর্যশক্তিও বাড়বে।
মর্যায়াসন:
হাত এবং হাঁটুর উপর ভর দিয়ে থুতনি কখনও একটি উঁচু করে, আবার কখনও নিচু করে বসুন। তাতে এনার্জি এবং হারের জোরও বাড়বে।
বৃশ্চিকাসন:
দুই হাতের কনুইয়ের উপর ভর দিয়ে বিছের মতো শরীর শূন্যে ভাসিয়ে রাখা হল বৃশ্চিকাসন। এই ধরনের যোগচর্চা মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।
