সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্ষণের মামলায় এখনও স্বস্তি পেলেন না বাবর আজম। তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে মামলা চলছে পাক ব্যাটারের বিরুদ্ধে। কিন্তু বৃহস্পতিবার শুনানির দিন ধার্য করা থাকলেও সেটা পিছিয়ে দেওয়া হল। ফলে আরও দীর্ঘায়িত হল বাবরের সুবিচার পাওয়ার অপেক্ষা।
২০২১ থেকে ধর্ষণের মামলা ঝুলছে বাবরের বিরুদ্ধে। যৌন হেনস্তা, শারীরিক নির্যাতন, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ- একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছিল প্রাক্তন পাক অধিনায়কের বিরুদ্ধে। নিজেকে বাবরের স্কুলজীবনের বন্ধু বলে দাবি করে অভিযোগ এনেছিলেন এক তরুণী। তাঁর দাবি, বাবর বছরের পর বছর তাঁকে ব্যবহার করেছেন, নিজের যাবতীয় খরচের টাকা নিয়েছেন, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করেছেন, এমনকী বাবরের সঙ্গে সহবাসের পর মহিলা নাকি অন্তঃসত্ত্বাও হয়েছিলেন। তাঁকে গর্ভপাত করতে বাধ্য করেন বাবর।
অভিযোগকারিণী আরও বলেন, পাকিস্তানের তারকা ব্যাটসম্যানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক সেই ২০১০ সাল থেকে। তখনও বাবরের এত খ্যাতি ছিল না। স্কুলে পড়াকালীনই বাবর তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন। এমনকী, তাঁরা পালিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্তও নেন। কিন্তু এরই মধ্যে জাতীয় দলে ডাক পেয়ে যান বাবর। এবং খ্যাতির শিখরে পৌঁছতেই বেঁকে বসেন। মহিলাকে নাকি এই ঘটনা প্রকাশ্যে না আনার জন্য চাপ দেওয়া হত। মারধর করা হত, এমনকী, খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে দাবি মহিলার।
বছরতিনেক ধরে বাবরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা চলছে লাহোর হাই কোর্ট। গত শুনানিতে রিপোর্ট পেশ করে পুলিশ। সেখানে বলা হয়, অভিযোগকারিণী বা তাঁর পরিবারের কারোর বিরুদ্ধে কোনও অন্যায় করেননি বাবর। তারপরে বৃহস্পতিবার লাহোর হাই কোর্টে বাবরের মামলার শুনানি হওয়ার ছিল। কিন্তু পাক তারকার আইনজীবী নিজেই উপস্থিত ছিলেন না আদালতে। ফলে শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়। আগামী ১৬ ডিসেম্বর মামলার শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।