সুব্রত বিশ্বাস: গত ২৪ ঘণ্টার প্রবল বর্ষণে জলমগ্ন কলকাতা (Kolkata)। এখনও শহরের একাধিক জায়গা জলের তলায়। প্রবল বৃষ্টিতে হাওড়া কারশেড, টিকিয়াপাড়া, ঝিল সাইডিংয়ের সমস্ত লাইন জলের তলায়। ১৭টি জায়গায় বিপজ্জনক হয়ে পড়ায় ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত। এই পরিস্থিতিতে লোকাল ট্রেন-সহ একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল রয়েছে।
পূর্ব রেলওয়ের তরফে জানানো হয়েছে, হাওড়া-মুম্বই, হাওড়া-টিটলাগড়, হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ, হাওড়া-পুরী স্পেশ্যাল, হাওড়া-আদ্রা-চক্রধরপুর, হাওড়া-চেন্নাই স্পেশ্যাল, হাওড়া-যশবন্তপুর স্পেশ্যাল, হাওড়া-হায়দরাবাদের মতো ট্রেনগুলি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া বেশ কিছু ট্রেন হাওড়ার বদলে সাঁতরাগাছি থেকে ছাড়বে। এর পাশাপাশি বাতিল করা হয়েছে আপ পূর্বা এক্সপ্রেস, লালকুঁয়া এক্সপ্রেস, হুল এক্সপ্রেস, ভাগলপুর এক্সপ্রেস, কলকাতা-লালগোলা ও কলকাতার তেজে হাজারদুয়ারী এক্সপ্রেস। দেরি করে ছাড়বে হিমগিরি এক্সপ্রেস, দুন এক্সপ্রেস, হাওড়া-নিউ দিল্লি এক্সপ্রেস। কলকাতা স্টেশনের আগে জল জমায় পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেস বেলঘড়িয়া ও রাধিকাপুর এক্সপ্রেস সোদপুর এসে যাত্রা বাতিল করে। হাওড়া থেকে এদিন সকালে বাতিল করা হয়েছে অনেকগুলি স্টাফ স্পেশাল। যার মধ্যে বারোটি আপ ব্যান্ডেল লোকাল, দশটি ডাউন ব্যান্ডেল লোকাল, একজোড়া আরামবাগ লোকাল ও দুজোড়া শেওড়াফুলি লোকাল।
[আরও পড়ুন: East West Metro: এবার Sector V থেকে Sealdah পর্যন্ত ছুটবে মেট্রো, শনিবারই শুরু ট্রায়াল]
এদিকে, কোভিড পরিস্থিতিতে রেলের স্টেশন চত্বরে অপরাধ থেকে বেআইনি কাজ বেড়েছে। বিধি ভঙ্গের রেওয়াজে তটস্থ যাত্রী জীবন। স্টেশন চত্বর এতটাই হকারদের দখলে চলে গিয়েছে যে, যাত্রীরা নিরাপদে চলাচল করতে পারছেন না। শিয়ালদহ থেকে শুরু করে পার্ক সার্কাস, বালিগঞ্জ, বারুইপুর, সোনারপুর, ক্যানিং, ডায়মন্ডহারবার, দমদম, বারাসত, বেলঘরিয়া, বারাকপুর, রানাঘাট, কৃষ্ণনগর-সহ বহু ব্যস্ত স্টেশন হকারদের দখলে। নির্বিঘ্নে যাত্রীরা চলাচল করতে পারেন না। এই দখলদার হঠাতে পুলিশি সহায়তা চাইল রেল।
বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিশ কমিশনারের প্রতিনিধি, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার এডিএম, রেল পুলিশ সুপার, আরপিএফ কর্তাদের সঙ্গে শিয়ালদহের ডিআরএম এসপি সিং এক ভারচুয়াল সভায় এই আবেদন করেন, বিভিন্ন স্টেশন থেকে উচ্ছেদ চাওয়ার পাশাপাশি লাইনের ধার ও রেল আবাসন দখলদারদের হাতে চলে গিয়েছে। সেগুলিও দখল মুক্তের আবেদন জানান। শিয়ালদহ ডিভিশনে ৭৫টি বেআইনি গাড়ি প্রবেশের রাস্তা বন্ধের আবেদন করেছে রেল। বেআইনিভাবে লাইনের উপর ও স্টেশনে চত্বরে গাড়ি ঢুকে পড়ায় বিপদের আশঙ্কা থেকে যায়। আইন শৃঙ্খলার অবনতি না ঘটিয়ে যে বিষয়গুলিতে সমস্যা সমাধান সম্ভব সেগুলিতে রেলকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য পুলিশ ও জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে রেলের আবেদন, রাজ্যের উচ্চস্তরে জানানো হবে। অনুমতি মিললে ব্যবস্থা হবে।