সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজোর কেনাকাটি প্রায় সারা। অনেকেরই প্ল্যানিংও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বৃষ্টি সব পরিকল্পনা ভেস্তে দেবে না তো? এটাই যেন এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। চতুর্থীর দুপুরের অঝোর বৃষ্টির (Rain) পর সে প্রশ্ন যেন আরও জোরাল হচ্ছে। আকাশের হাবভাব দেখে মন ভাল নেই আমজনতার।
শনিবার সকাল খেকেই আকাশের মুখভার। হালকা রোদের দেখা মিলেছে মাঝেমধ্যে। যদিও তা ঠিক শরতের মতো ঝলমলে নয়। দুপুরে আচমকা কালো মেঘে ভরে যায় আকাশ। শুরু হয় ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। তাতে মনখারাপ উৎসুক আমজনতার। করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে মণ্ডপে ‘নো এন্ট্রি’ দর্শনার্থীদের। তা সত্ত্বেও দূর থেকে প্রতিমা দর্শনের পরিকল্পনা করেছেন অনেকেই। বৃষ্টি দেখে মাথায় হাত উৎসুক আমজনতার।
[আরও পড়ুন: পুজোর স্পেশ্যাল ভিডিও তৈরি করতে গিয়ে এ কী করলেন আবির চট্টোপাধ্যায়!]
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, উত্তর আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। যার জেরে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং কেরলের একাধিক জেলায়। বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়াও। প্রায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে।
তবে উত্তর আন্দামান সাগরের নিম্নচাপ বাংলায় বিশেষ প্রভাব ফেলবে না বলেই মত আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের। পুজোর কটাদিন বড়সড় দুর্যোগের সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে অষ্টমী থেকে দশমী পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বৃষ্টির সম্ভাবনা। পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে তুলনামূলক বেশি বৃষ্টি হতে পারে। তবে তাতে পুজোর আনন্দ পুরোপুরি মাটি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছে হাওয়া অফিস।