সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উজ্জ্বল চোখে ছুরির থেকেও তীক্ষ্ণ ধার। ঠোঁটের হাসিতে যতটা কোমলতা, ততটাই নিষ্ঠুর মনের ছাপ স্পষ্ট সঞ্জয় লীলা বনশালির (Sanjay Leela Bhansali) ‘হীরামাণ্ডি: দ্য ডায়মন্ড বাজার’র ফার্স্টলুক টিজারে (Heeramandi first look)। নিজস্ব আঙ্গিকেই ওয়েবদুনিয়ায় সফর শুরু করলেন পরিচালক। বিগ বাজেট পিরিয়ডিক ড্রামা। সেরকমই তুখড় সেট ডিজাইন। ঠিক যেমনটা ‘দেবদাস’, ‘বাজিরাও মস্তানি’, ‘গাঙ্গুবাঈ’য়ের মতো প্রতিটা ছবিতে বনশালি স্টাইলের সাক্ষী থেকেছিল দর্শকরা।
‘গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াওয়াড়ি’ ছবিতে গণিকালয়ের ঝলক দিয়েছিলেন মাত্র, আর এবার একটা আস্ত পতিতাপল্লীকেই সিরিজের সাবজেক্ট বানিয়েছেন বনশালি। প্রেক্ষাপট ১৯৪০ সালের অবিভক্ত ভারত। টিজারে স্বাধীনতা আন্দোলনের ঝাঁজও মিলল। বলিউডের ছয় রূপসীর রূপ, কলাকৌশল, তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তার ঝলক মিলল ‘হীরামাণ্ডি’র ফার্স্টলুক টিজারে। সঞ্জয় লীলা বনশালির মস্তিষ্কের ম্যাজিকেই ‘হীরামাণ্ডি’র গণিকারা যেন ধরা দিলেন রানির বেশে। স্টার কাস্টও ঝা চকচকে। কে নেই? সোনাক্ষী সিনহা, মণীষা কৈরালা, রিচা চাড্ডা, অদিতি রাও হায়দরি, সঞ্জিদা শেখ, শর্মিন সেহগালদের দেখা গেল সোনায় মোড়া অবতারে।
[আরও পড়ুন: পুলওয়ামা-বালাকোটে মুখ ফেরালেন খোদ ভারতীয় দর্শকরাই! বিদেশে মারকাটারি ব্যবসা ‘ফাইটার’-এর]
স্বাধীনতা উত্তর পর্বে লাহোরের বারবনিতাদের জীবন কেমন ছিল? কারা রানির মতো জীবন অতিবাহিত করতেন? কারাই বাবা প্রতিমুহূর্তে সমাজের চোখে চোখ রেখে নিজের শর্তে চলতেন, সেই কাহিনিই বনশালির এই নতুন সিরিজে দেখা যাবে। এর আগে ‘হীরামাণ্ডি’ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সঞ্জয় লীলা বনশালি জানিয়েছিলেন, এটি তাঁর ড্রিম প্রজেক্ট। ১৪ বছর ধরে স্বপ্ন বুনেছেন। অনেক পরিকল্পনা, প্রস্তুতির পর সিরিজের কাজট শুরু করছেন। এই সিরিজের মাধ্যমে বারবনিতার জীবনের চালচিত্র সারা বিশ্বের দর্শকদের সামনে তুলে ধরতে চান তিনি। তাই কোনও খামতি রাখতে চান না। নেটফ্লিক্সে দেখা যাবে ‘হীরামাণ্ডি’।