সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানো হল ঝাড়খণ্ডের সদ্যপ্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরনকে। জানা গিয়েছে, হেমন্তকে (Hemant Soren) ১০ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছিল ইডি। কিন্তু আপাতত একদিনের জন্য জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে রাঁচির বিশেষ আদালত। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার সময়ে ঝাড়খণ্ডের প্রস্তাবিত নতুন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেনকে (Champai Soren) ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। এহেন পরিস্থিতিতে শোনা গিয়েছে, কংগ্রেস-সহ শাসক জোটের সকল বিধায়ককে ঝাড়খণ্ড থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, চম্পাই সোরেনের সমর্থনে সই করেছেন ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) মহাজোটের ৪২ জন বিধায়ক। যদিও জেএমএমের দাবি, চম্পাইয়ের জন্য ৪৭জনের সমর্থন রয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যপালের কাছে চিঠি দিয়ে চম্পাই জানিয়েছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে তাঁর সঙ্গে। সমস্ত বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে চান। সেই মতো বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার সময়ে সাক্ষাতের সময় দিয়েছেন রাজ্যপাল। ফলে এদিনই নতুন মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে সরকার গড়ে ফেলতে পারেন চম্পাই, এমনটাই অনুমান।
[আরও পড়ুন: পূর্বাঞ্চলই ‘পাখির চোখ’, নির্মলার বাজেট ভাষণে ভোটের অঙ্ক!]
তবে ঝাড়খণ্ডের এই দোলাচলকে কাজে লাগিয়ে ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে বিজেপি। জানা গিয়েছে, দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করতে রাঁচি পৌঁছে গিয়েছেন রাজ্য বিজেপির প্রধান লক্ষ্মীকান্ত বাজপেয়ী। সেই জন্যই তড়িঘড়ি সরকার গঠন করতে চাইছে জেএমএম। কিন্তু ইতিমধ্যেই দলের চার বিধায়কের খোঁজ মিলছে না বলে সূত্রের খবর। চম্পাইয়ের সমর্থনেও সই করেননি তাঁরা। আরও শোনা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড থেকে কংগ্রেসশাসিত তেলেঙ্গানায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হতে পারে জেএমএম বিধায়কদের।
ডামাডোলের মধ্যেই হেমন্তের জেলযাত্রা নিশ্চিত করে দেয় রাঁচির বিশেষ আদালত। আপাতত তাঁকে একদিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার ফের হেমন্তকে হেফাজতে রাখা নিয়ে শুনানি শুরু হবে। হেমন্তকে ১০দিনের হেফাজতে নেওয়ার অনুমতি ইডি (ED) পাবে কিনা, উত্তর মিলবে শুক্রবার।