সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অঘটনের কোনও সম্ভাবনাই ছিল না। সেই মতো বিধানসভায় আস্থাভোটে সহজ জয় ছিনিয়ে নিয়ে ঝাড়খণ্ডের কুর্সিতে পুনর্বহাল হলেন হেমন্ত সোরেন। এদিকে আস্থাভোট শুরু হতেই বিধানসভায় হট্টগোল শুরু করেন বিরোধী দলের বিধায়করা। এর পর বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যায় বিরোধী শিবির।
জেল থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণের পর হেমন্ত সোরেনে সামনে মৃদু বাধা ছিল আস্থা ভোট। যদিও সেখান জয়ের সামনে বিষয়ে কার্যত নিশ্চিত ছিলেন সোরেন। কেননা বিধানসভায় ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার ২৭ জন বিধায়কের পাশাপাশি কংগ্রেসের ১৭টি এবং আরজেডির একজন বিধায়ক মিলে সোরেনের হাতে রয়েছে ৪৫ জনের সমর্থন। অন্যদিকে বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোটে সবশুদ্ধ ৩০ জন রয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনের কারণে কক্ষের সদস্য সংখ্যা কমে যাওয়ায় ৩৮টি ভোটই যথেষ্ট ছিল আস্থা ভোটে জয়ী হতে। আস্থাভোট শুরু হতেই সোরেনের পক্ষে ভোট পড়ে ৪৫টি। বিরোধী শিবির ওয়াক আউট করলেও সংসদে ছিলেন নির্দল বিধায়ক সূর্য রায়। তিনি অবশ্য ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নেননি। আস্থা ভোটে নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে ঝাড়খণ্ডের কুর্সিতে পুনর্বহাল হলেন হেমন্ত সোরেন।
[আরও পড়ুন: সাধারণ আলমারির পিছনে গোপন বাঙ্কার! কুলগামে ৪ জঙ্গির মৃত্যুর পর প্রকাশ্যে ‘নিপুণ শিল্পকর্ম’]
উল্লেখ্য, গত ৩১ জানুয়ারি জমি দুর্নীতি মামলায় আর্থিক তছরুপের মামলায় গ্রেপ্তার হন হেমন্ত। তার আগেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন। জেএমএমের চম্পাই সোরেন মুখ্যমন্ত্রী হন। প্রায় পাঁচ মাস জেলে থাকার পর গত ২৮ জুন হেমন্তকে জামিন দেয় ঝাড়খণ্ড হাই কোর্ট। এর পরই চম্পাই ইস্তফা দিলে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন হেমন্ত সোরেন। সোমবার আস্থা ভোটেও লেটার মার্কস নিয়ে পাশ করলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: রেকর্ড বৃষ্টিতে বানভাসি মুম্বই, রাস্তায় ভাসছে গাড়ি, থমকে ট্রেন পরিষেবা]
এদিকে জানা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পর শীঘ্রই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করবেন হেমন্ত সোরেন। চলতি বছরে ঝাড়খণ্ডে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে জনদরবারে নিজের আস্থা বাড়াতে কোমর বেঁধে নেমে পড়তে চলেছেন তিনি।