সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পিছু হটেছেন ইয়েভগেনি প্রিগোজিন (Yevgeny Prigozhin)। রক্তপাত এড়াতেই মস্কো অভিযান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে মস্কোর (Mosco) দোরগোড়ায় পৌঁছে যাওয়া বাহিনীকে সরিয়ে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, সামনে যা পাবেন তাই গুঁড়িয়ে এগিয়ে যাওয়ার হুঙ্কার দেওয়া ‘পুতিনের রাঁধুনি’ কেন আচমকাই এভাবে পিছু হটলেন? বলা হচ্ছে, এর পিছনে রয়েছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। তাঁর হস্তক্ষেপেই আপাতত স্বস্তি পেলেন পুতিন।
পুতিনের ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও পুরোপুরি কাটেনি। প্রিগোজিন কী করবেন সেদিকে চোখ ওয়াকিবহাল মহলের। তবে আপাতত বলাই যায়, প্রিগোজিন যে তাঁর বাহিনীকে রোস্তভ-অন-ডন থেকে সরিয়ে বেলারুশে (Belarush) নিয়ে চলে যাচ্ছেন তার পিছনে রয়েছেন লুকাশেঙ্কোই। আসলে পুতিনের সঙ্গে তাঁর ‘বন্ধুত্ব’ই এক্ষেত্রে বড় ফ্যাক্টর। ১৯৯৪ সাল থেকে মসনদে রয়েছেন লুকাশেঙ্কো (Alexander Lukashenko)। প্রায় তিন দশক ধরে তাঁর প্রেসিডেন্ট থাকার পিছনে রয়েছে পুতিনের সাহায্য। এবার সেই সাহায্য়েরই প্রতিদান দিলেন লুকাশেঙ্কো, মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
[আরও পড়ুন: রিকশা চালকের ছদ্মবেশে খলিস্তানিদের দঙ্গলে! ‘অপারেশন ব্লুস্টারে’ কোন ভূমিকায় ছিলেন অজিত ডোভাল?]
প্রসঙ্গত, ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা শুরু করেছিল পুতিন সরকার। এই পরিস্থিতিতে মধ্যস্থতা করতে এগিয়ে আসেন লুকাশেঙ্কো। আর তাতেই পিছু হটতে রাজি হন ২৫ হাজার ভাড়াটে সেনার প্রধান প্রিগোজিন। পরে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেস্কভ জানিয়ে দেন, তাঁরাও বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কোনও রকম পদক্ষেপ করবেন না।