শম্পালী মৌলিক: সারা দেশের মতোই রাজ্যজুড়ে করোনা (Coronavirus) সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হতেই পিছিয়ে যেতে শুরু করেছে বাংলা ছবির মুক্তি। জানুয়ারি মাসে চারটি ছবি মুক্তির কথা ছিল। এই শুক্রবার অর্থাৎ ১৪ জানুয়ারি রিলিজ হত শ্রীমন্ত সেনগুপ্ত পরিচালিত ‘আবার বছর কুড়ি পরে’ ( Abar Bochhor Koori Pore)। পরিচালক ফোনে জানালেন, ‘এই পরিস্থিতিতে ছবি মুক্তি পাবে না, আমরা আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা ছবি রিলিজের ঠিক সময় নয়, তাই ১৪ জানুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে না আমাদের ছবিটি। সেক্ষেত্রে সিচুয়েশন একটু স্বাভাবিক হলে তাড়াতাড়িই আমরা রিলিজের প্ল্যান করব।’
প্রসঙ্গত, ‘আবার বছর কুড়ি পরে’-তে রয়েছেন আবির চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ, তনুশ্রী চক্রবর্তীর মতো তারকা। অন্যদিকে পরিচালক রাজ চক্রবর্তীও আপাতত স্থগিত রেখেছেন তাঁর ‘ধর্মযুদ্ধ’-র মুক্তি। তিনি এবং শুভশ্রী সম্প্রতি কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন। এখন দু’জনই সুস্থ। ফোনে রাজ বললেন, “পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তবে রিলিজের কথা ভাবা যাবে।” সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২১ জানুয়ারি মুক্তি পেত স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত, ঋত্বিক চক্রবর্তী, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, সোহম চক্রবর্তী, পার্ণো মিত্র অভিনীত ছবিটি।
পরিচালক অরিন্দম শীলের ‘মহানন্দা’ আসার কথা ছিল প্রথমে ১৪ জানুয়ারি, পরে ঠিক হয় ১৮ ফেব্রুয়ারি আসতে পারে। কিন্তু ছবিটি এখন মুক্তি পাচ্ছে না। তবে হোলির সময় মুক্তি পাবে ‘মহানন্দা’ ছবিটি। পরিচালক অরিন্দম জানালেন, “১৮ ফেব্রুয়ারি ‘মহানন্দা’ রিলিজ ভেবেছিলাম কিন্তু সেটা হবে না। এখন মানুষের হলে যাওয়ার প্রশ্নই নেই। সিনেমা অপেক্ষা করতে পারে, আগে স্বাভাবিক জীবন ছন্দে ফিরুক। ‘মায়াকুমারী’-ও জানুয়ারিতে রিলিজের প্ল্যান ছিল, কিন্তু হবে না। এখন পয়লা বৈশাখে রিলিজের প্ল্যান করছি আমরা।” ‘মহানন্দা’ সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবীর জীবন-আদর্শ ও কর্মকাণ্ডের আধারে নির্মিত। প্রধান চরিত্রে গার্গী রায়চৌধুরি, দেবশঙ্কর হালদার, ইশা সাহা ও অর্ণ মুখোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: রাজ্য সরকারের পেনশন প্রাপকদের জন্য সুখবর, এবার মিলবে ATM ও নেট ব্যাংকিং পরিষেবা]
আর ‘মায়াকুমারী’-র মুখ্য ভূমিকায় ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ও আবির চট্টোপাধ্যায়। জানুয়ারিতে আরও একটি ছবি মুক্তির কথা রয়েছে। সায়ন্তন ঘোষালের ‘স্বস্তিক সংকেত’। ২১ জানুয়ারি সে ছবি আসার কথা। প্রযোজনা সংস্থার পক্ষ থেকে তেমনটাই জানা গিয়েছে। লিডরোলে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, নুসরত জাহান, গৌরব চক্রবর্তী, রুদ্রনীল ঘোষ প্রমুখ।
ফেব্রুয়ারির শুরুতে দু’টি বড় বংলা ছবি আসার কথা। এসভিএফ-এর ‘কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘জঙ্গলের মধ্যে এক হোটেল’ উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও আরিয়ান ভৌমিক। এখনও পর্যন্ত ঠিক রয়েছে ছবিটি ৪ ফেব্রুয়ারি আসবে। তবে পরিস্থিতি বুঝে।
‘উইন্ডোজ’-এর ছবি, অরিত্র মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘বাবা বেবি ও’ একইদিনে আসার কথা। তবে সবটাই করোনা পরিস্থিতির উপর নির্ভরশীল। এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় যিশু সেনগুপ্ত, শোলাঙ্কি রায়, মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। পরিস্থিতি যা, রাতারাতি সিদ্ধান্ত বদলে ফেলতে হচ্ছে অনেক প্রযোজনা সংস্থাকেই। অর্থাৎ বাংলা ছবির পরিস্থিতি এরকম –
- ‘আবার বছর কুড়ি পরে’ পিছিয়ে যাচ্ছে।
- ‘ধর্মযুদ্ধ’ এখন মুক্তি পাচ্ছে না।
- ‘মহানন্দা’ আপাতত মুক্তি পাচ্ছে না। হোলিতে মুক্তির পরিকল্পনা।
- ‘মায়াকুমারী’ বাংলা নববর্ষে মুক্তির প্ল্যান।
- ‘স্বস্তিক সংকেত’ ২১ জানুয়ারি আসার কথা।
- ‘কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’ ৪ ফেব্রুয়ারি আসার কথা।
- ‘বাবা বেবি ও’ ৪ ফেব্রুয়ারি আসার কথা।
হলি-বলি-টলি– তিন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিই চাপের মুখে। বলিউডে অনেক বড় তারকার ভাগ্যই
- জার্সি (শাহিদ কাপুর, ম্রুণাল ঠাকুর)
- ট্রিপল আর (এন.টি. রামারাও জুনিয়র, রাম চরণ, অজয় দেবগণ, আলিয়া ভাট)
- রাধে শ্যাম (প্রভাস, পূজা হেগড়ে)
- পৃথ্বীরাজ (অক্ষয় কুমার, মানুসী চিল্লর)
- গেহরাইয়া (দীপিকা পাডুকোন, সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী)