সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের এক প্রতারণার মামলায় নাম জড়াল সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী তথা অভিনেত্রী রাফিয়াত রাশিদ মিথিলার (Rafiath Rashid Mithila)। মিথিলার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছেন বাংলাদেশের এক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘ইভ্যালির’ এক গ্রাহক সাদ স্যাম রহমান। মিথিলার বিরুদ্ধে ইভ্যালির কর্মকাণ্ডে সহযোগিতার অভিযোগ এনেছেন সাদ। মিথিলা ছাড়াও এ মামলায় অভিনেতা ও গায়ক তাহসান খান ও শবনম ফারিয়া-সহ মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন সাদ।
গত ৪ ডিসেম্বর তিনি ঢাকার ধানমন্ডি থানায় মামলাটি করেন সাদ স্যাম রহমান। মিথিলা ইভ্যালির সঙ্গে ফেস অব ইভ্যালি লাইফস্টাইল হিসেবে ছিলেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান শুক্রবার সাংবাদিকদের জানান, এ মামলায় মিথিলা, তাহসান ও ফারিয়া-সহ অন্যান্যরা যে কোনও সময় গ্রেপ্তার হতে পারেন।
[আরও পড়ুন: Chandigarh Kare Aashiqui Review: ফের আয়ুষ্মানের ছবিতে সামাজিক সমস্যা, মন কাড়তে পারল ‘চণ্ডীগড় করে আশিকি’?]
এ বিষয়ে মিথিলা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমি এখনও লিগ্যাল নোটিস পাইনি। সুতরাং, এই বিষয়ে কিছুই জানি না। ইভ্যালির কারণে আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এর কারণে আমার এত বড় সুনাম নষ্ট হল।” এর আগে মিথিলা জানিয়েছিলেন, গত ১৫ মে ইভ্যালিতে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে যোগ দেওয়ার দিনই তাহসানের সঙ্গে ইভ্যালির একটি বিশেষ লাইভে অংশ নেন তিনি। এর দু’মাস পর মিথিলা ইভ্যালির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেন। মিথিলার কথায়, “আমি জয়েন করার দু’মাসের মধ্যে দেখি নানা জটিলতা। আগে তো এত কিছু টের পাইনি। তবে আমি চাই না এই সময়ে ইভ্যালি রিলেটেড কোনও খবরে আসতে। আমার আরও অনেক কাজ আছে, সেগুলো নিয়েই এখন ব্যস্ত আমি।”
ডিসি সাজ্জাদুর রহমান বলেন, “চটকদার বিজ্ঞাপন ও বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে হাজারও গ্রাহককে পথে বসিয়েছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি- এমন অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে।” এ মামলার অন্য আসামীদের মধ্যে রয়েছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (CEO) মোহাম্মদ রাসেল, তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন, আকাশ, আরিফ, তাহের ও মো. আবু তাইশ কায়েসকে মামলায় আসামী করা হয়েছে। তাহসান, মিথিলা ও ফারিয়া ইভ্যালির বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন।
সাদ স্যাম রহমান অভিযোগে উল্লেখ করেন, প্রতারণামূলকভাবে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ ও এতে সহায়তা করেছেন তাহসান, মিথিলা ও ফারিয়া। আত্মসাৎ করা টাকার পরিমাণ ৩ লক্ষ ১৮ হাজার, যা তিনি এখনও উদ্ধার করতে পারেননি। ওসি ইকরাম আলি বলেন, এ মামলায় ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকিদের বিষয়ে তদন্ত চলছে।