সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত মঙ্গলবার প্রকাশ্যে এসেছে ‘স্বস্তিক সংকেত’ (Swastik Sanket) সিনেমার চরিত্রদের লুক। ছবিতে এক্কেবারে ভিন্ন লুকে ক্যামেরার সামনে ধরা দিয়েছেন রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)। তা নিয়ে তুমুল চর্চা সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) মতো দেখতে লাগছে। রুদ্রনীলের নতুন লুক দেখে মজার ছলে এমনই মন্তব্য করেছেন অনেকে। তা শুনে মজাই পেলেন অভিনেতা। সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে জানালেন নিজের প্রতিক্রিয়া।
রুদ্রনীলের এই লুক দেখেই সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা হয়েছে, “আমি প্রথমে মোদি ভেবেছিলাম, ভাবলাম মোদির বায়োপিক হচ্ছে বুঝি।” “প্রথম দেখেই তো চমকে উঠেছিলাম”, এমন মন্তব্যও করা হয়েছে। একজন লেখেন, “এ যেন নবরূপে নরেন্দ্র!”
[আরও পড়ুন: আফ্রিকার জঙ্গলে ‘কাকাবাবু’ প্রসেনজিতের নয়া অভিযান, ট্রেলারে চমক পরিচালক সৃজিতের]
নিজের এই নতুন লুকের ক্রেডিট ছবির পরিচালক সায়ন্তন ঘোষাল এবং মেকআপ আর্টিস্ট সোমনাথ কুণ্ডুকেই দিলেন রুদ্রনীল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে নতুন এই লুকের তুলনায় খুশি অভিনেতা। তার থেকেও বেশি খুশি যে মানুষ রুদ্রনীল ঘোষ হিসেবে তাঁকে দেখছেন না। কোনও একটি স্পেশ্যাল চরিত্র হিসেবে দেখছেন। অভিনেতা হিসেবে এটাই খুব বড় প্রাপ্তি বলে জানালেন তিনি।
এই প্রসঙ্গেই জানালেন ‘আবার বছর কুড়ি পরে’ ছবির কথা। সে ছবিতেও ভিন্ন লুকে দেখা যাচ্ছে রুদ্রনীলকে। কার্লি হেয়ার করা হয়েছে তাঁর। সেটাও খুব ইন্টারেস্টিং বলে জানালেন অভিনেতা। নিজের এই নিত্যনতুন লুক বেশ এনজয় করছেন তিনি। ‘স্বস্তিক সংকেত’ ছবিতে রুদ্রনীলের চরিত্রের নাম সুভাষ চট্টোপাধ্যায়। রহস্য সন্ধানে মুখ্য চরিত্র রুদ্রাণীর (নুসরত জাহান) পাশে দেখা যাবে তাঁকে।
এই চরিত্রের সঙ্গে তাহলে নরেন্দ্র মোদির কোনও যোগাযোগ নেই বলছেন? প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে হেসে ওঠেন রুদ্রনীল। তারপরই জানান, না এ গল্পে তেমন কিছু নেই। বরং সুভাষ চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্রের সঙ্গে নেতাজি সুভাষচন্দ্রের কিছু যোগাযোগ থাকতে পারে। ভবিষ্যতে কি নরেন্দ্র মোদির চরিত্রে বা বায়োপিকে অভিনয় করার প্রস্তাব পেলে তা গ্রহণ করবেন? এর জন্য চেহারাগত, উচ্চতাগত সাদৃশ্য আনতে হয়। ব্যক্তিগতভাবে মানুষটাকে চিনতে হয় বলেই জানালেন রুদ্রনীল।