সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উমা পাড়ি দিয়েছেন কৈলাসে। এবার পালা লক্ষ্মীপুজোর। আগামী ১৬ অক্টোবর, বুধবার লক্ষ্মীপুজো। প্রায় প্রতিটি গৃহস্থ বাড়িতে সম্পদ, সৌভাগ্য ও সৌন্দর্যের দেবীর আরাধনা হয়। কোজাগরী পূর্ণিমায় মূলত রাত জেগে দেবী আরাধনার চল রয়েছে। তিথি অনুযায়ী কখন করা যাবে লক্ষ্মীপুজো, দেখে নিন একনজরে।
গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে, বুধবার সন্ধে ৭টা ৪২ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড গতে পূর্ণিমা তিথি আরম্ভ। পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ১৭ মিনিট ৩৬ সেকেন্ড গতে পূর্ণিমা তিথি শেষ। যাঁরা গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা করবেন, তাঁরা এই সময়েই পুজো করতে পারবেন। আবার বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে, বুধবার রাত ৮টা ৪১ মিনিট গতে কোজাগরী পূর্ণিমা তিথি শুরু। পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে ৫৬ মিনিটে পূর্ণিমা তিথি শেষ। তাই এই সময়ের মধ্যে লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা করতে পারেন।
পূরাণ মতে, কোজাগরী শব্দটি এসেছে ‘কো জাগর্তি’ থেকে, যার অর্থ ‘কে জেগে আছো’। কথিত রয়েছে, এই পূর্ণিমার রাতে নাকি দেবী লক্ষ্মী জগৎ পরিক্রমায় বেরন। তিনি দেখেন, কেউ সারারাত জেগে আছেন কিনা। অনেকে আবার বলেন, কোজাগরী পূর্ণিমা রাতে যে জেগে থাকেন এবং পাশাখেলা করেন তাঁকে মা লক্ষ্মী ধনসম্পত্তি দান করেন। তাই ভক্তিপূর্ণ চিত্তে লক্ষ্মীপুজো করার পরে প্রথমে বালক, বৃদ্ধ ও শিশুদের খাবার খাওয়াতে হয়। আজও ধনসম্পদের দেবী লক্ষ্মীকে পাওয়ার জন্য গৃহস্থেরা সারারাত ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালান।
কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন বাংলার প্রতিটি ঘর মুখরিত হয়ে ওঠে শঙ্খধ্বনিতে। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে রয়েছে কৃষি সমাজ। তার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আলপনা। এই পুজো হয় মূলত প্রতিমা, সরা, নবপত্রিকা কিংবা থোড়ের তৈরি নৌকোয়। লক্ষ্মীর সরাও হয় নানারকমের। অঞ্চলভেদে লক্ষ্মীর সরায় তিন, পাঁচ, সাতটি পুতুল আঁকা হয়। তাতে থাকে লক্ষ্মী, জয়া বিজয়া-সহ রাধা কৃষ্ণ, সপরিবার দুর্গা ইত্যাদি।