অভিরূপ দাস: এখনও আগের মতোই রয়েছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। সোমবার তাঁকে বেলভিউ হাসপাতালে দেখতে আসেন রাজ্য সরকারের তরফে চিকিৎসকদের একটি দল। টিমে ছিলেন প্রফেসর আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, প্রফেসর বিমান ধর, ডা. মনোতোষ সূত্রধর ও আরও দুই চিকিৎসক। রাজ্য সরকারের পরামর্শে তৈরি সেই টিম দেখে যাওয়ার পরই সিদ্ধান্ত হয় বুধবার ট্র্যাকিওস্টমি করা হবে প্রবীণ অভিনেতার। তবে একইসঙ্গে ওই পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে যাতে তাঁর অন্য কোনও শারীরিক ক্ষতি না হয় সেদিকটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ট্র্যাকিওস্টমির ব্যাপারে তাঁর পরিবারের থেকে অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
[আরও পড়ুন: কমলা হ্যারিসের জয়ের অন্যতম কারিগর শত্রুঘ্ন সিনহার পরিবার! ব্যাপারটা কী?]
বুধবার এই অস্ত্রোপচারের পর সৌমিত্রবাবুর ফুসফুসে বেশি অক্সিজেন পৌঁছবে বলেই ধারণা চিকিৎসকদের। ঠিক হয়েছে প্লাজমাফেরেসিসও হবে অভিনেতার। বেলভিউ হাসপাতালের পক্ষ থেকে ডা. অরিন্দম কর সোমবার রাতের মেডিক্যাল বুলেটিনে জানিয়েছেন, সার্বিকভাবে প্রবীণ ওই অভিনেতার শারীরিক অবস্থা এখনও আগের মতোই। দিন তিনেক আগে সৌমিত্রর অবস্থা যেমন ছিল এখনও তেমনই রয়েছে। নতুন করে তাঁর আর কোনও পরিবর্তন হয়নি। মাঝে মাঝে তাঁর সংজ্ঞাও ফিরছে। তবে তা বেশিক্ষণের জন্য স্থায়ী হচ্ছে না। ঠিক হয়েছে পুনরায় অভিনেতার ইইজি করা হবে।
গত ৬ অক্টোবর শহরের বেলভিউ হাসপাতালে ভরতি হন। তারপর ১৪ অক্টোবর অভিনেতার কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু কোভিড এনসেফেলোপ্যাথির কারণে তাঁর স্নায়ু পদ্ধতিতে প্রভাব পড়েছে। অচৈতন্য অবস্থায় রয়েছেন তিনি। গত ১৪ দিন ধরে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্যের অবস্থা ক্রমশই অবনতির দিকে। অভিনেতার চেতনা এখনও নিস্তেজ। শেষ কয়েকদিন তিনি কিছু সময়ের জন্য নিজের চোখ খোলার চেষ্টা করেছিলেন। চিকিৎসক অরিন্দম কর জানিয়েছেন, “আমাদের নেফ্রোলজিস্টরা দেখছেন এই বয়সে আদৌ প্লাজমাফেরেসিস তাঁর পক্ষে কাজ করবে কি না।” টানা ৩৫ দিন ধরে বেলভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ‘ফেলুদা’। তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে অনুরাগীদের উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। তবে প্রার্থনা একটাই। সমস্ত প্রতিকূলতা কাটিয়ে যেন চ্যাম্পিয়নের মতোই ঘুরে দাঁড়ান তিনি।