শুভঙ্কর বসু: ডিসেম্বরে পুরভোট হবে ধরে নিয়েই প্রার্থী বাছাই শুরু করেছিল তৃণমূল, বিজেপি-সহ সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার হাই কোর্টে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানাল, জনস্বার্থ মামলার শুনানি চলাকালীন বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে না। ফলে অনিশ্চিয়তার মুখে পুরভোট।
কলকাতা পুরনিগম-সহ রাজ্যের ১১২টি পুরসভায় ২০২০ সাল থেকে নির্বাচন বকেয়া পড়ে রয়েছে। কিছুদিন আগে জানা যায়, বকেয়া পুরনির্বাচন দু’টি বা তিনটি ধাপে সম্পূর্ণ করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। যার প্রথম ধাপে ভোট হবে হাওড়া এবং কলকাতায়। পরবর্তী ধাপে রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তে ভোট হতে পারে। এতেই আপত্তি ছিল বিজেপির।
[আরও পড়ুন: তিনদিনের দিল্লি সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে]
বিজেপির তরফে প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় হাই কোর্টে দায়ের করেছিলেন জনস্বার্থ মামলা। বলা হয়েছিল, ৬ মাসের বেশি সময় ধরে সব পুরসভাতেই নির্বাচন বকেয়া। তাহলে শুধু হাওড়া ও কলকাতায় নির্বাচন কেন? মঙ্গলবার সেই মামলাটি ওঠে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানেই কমিশনের আইনজীবী জানিয়েছেন, যতদিন মামলার শুনানি চলবে, ততদিন পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আগামী সপ্তাহে পুরভোট নিয়ে রাজ্য ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।
উল্লেখ্য, কলকাতা পুরনিগম-সহ রাজ্যের ১১২টি পুরসভায় ২০২০ সাল থেকে নির্বাচন বকেয়া পড়ে রয়েছে। করোনার জেরে ২০২০ সালে এই নির্বাচনগুলি হয়নি। বিধানসভা ভোট (Assembly Elections) এবং রাজ্যের ৭ কেন্দ্রের উপ নির্বাচন মিটতেই পুরভোট করাতে উদ্যোগী হয় রাজ্য সরকার। মোটামুটিভাবে ঠিক ছিল আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা (KMC) ও হাওড়ায় (৫০ আসনে) পুরভোট হবে। কিন্তু এদিনের কমিশনের সিদ্ধান্তের পর পুরভোটের দিনক্ষণ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হল।