অশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: রামনবমীর আগের দিনই বিপাকে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। খড়গপুরের সাউথ সাইড এলাকায় রেলের একটি বাংলো বেআইনিভাবে দখল করে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠল বিজেপির প্রাক্তন সাংসদের বিরুদ্ধে। আরটিআই করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিযোগ তোলেন তৃণমূলের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি দেবাশিস চৌধুরী। সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, রেল যখন জানাচ্ছে ওই বাংলো কারও নামে বরাদ্দ করা হয়নি সেখানে কী করে দিলীপবাবু থাকছেন। অবিলম্বে এই বাংলো দিলীপবাবু ছেড়ে দিক বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের অভিযোগ, রেলের সিনিয়র সিকিউরিটি অফিসের সামনের যে বাংলোটিতে দিলীপ ঘোষ থাকেন, সেটি অবৈধভাবে দখল করেছেন তিনি। এই বাংলোটি কার নামে বরাদ্দ, সেটির নম্বর কত? মার্চ মাসে তথ্য জানার অধিকার আইনে রেলের কাছে তা জানতে চান তৃণমূলের দেবাশিস চৌধুরী। তাঁর দাবি, শুক্রবার রেল সেই প্রশ্নগুলির উত্তর দিয়ে জানিয়েছে, বাংলোটির নম্বর ৬৬৭ এবং বর্তমানে সেটি কারও নামে বরাদ্দ নয়।
এই তথ্য সামনে এনে দেবাশিসের প্রশ্ন, "আইনসভার প্রাক্তন সদস্য কীভাবে ওই বাংলোতে থাকেন। যেটি কিনা তাঁর নামে বরাদ্দ নেই। এই বাংলোর অনতিদূরেই ডিআরএমের বাংলো ও সিনিয়র সিকিউরিটির অফিস। তারপরও কী করে তিনি সেখানে রয়েছেন?" তাঁর আরও অভিযোগ, দিলীপ ঘোষ ওই বাংলো ব্যবহার করার ফলে বহিরাগতরা ওখানে আসছে। ফলে এলাকার সামাজিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। এছাড়াও রেলের প্রশাসনের কাছে তিনি প্রশ্ন করেছেন, রেলই জানিয়েছে ওই বাংলো কারও নামে বরাদ্দ করা নেই তারপরও কী করে কেউ তা ব্যবহার করছে?
তথ্য জানার অধিকারে রেল আরও জানিয়েছে, শেষবার ২০১৯ সালে বাংলোটি রেলের প্যাসেঞ্জার সার্ভিস কমিটির প্রাক্তন সদস্য তুষারকান্তি ঘোষের নামে বরাদ্দ করা হয়েছিল। যার মেয়াদ শেষ হয়ে যায় ২০২০ সালের মার্চ মাসে। তারপর থেকে আর কারও নামে তা বরাদ্দ করা হয়নি। এই তথ্য সামনে আসার পর চর্চা শুরু হয়েছে জেলা রাজনীতিতে।