সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একসময় বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তি হিসেবে নাম ছিল তাঁর। দু'বার সামলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের কুরসি। তখন থেকেই দাম্পত্য সম্পর্ক নিয়ে টানাপোড়েন ছিল মিস্টার অ্যান্ড মিসেস ওবামার। এবার ফের সেই বিতর্ক উসকে উঠেছে। নামী হলিউড অভিনেত্রী জেনিফার অ্যানিস্টনের সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। কয়েকটি অনুষ্ঠানে স্ত্রী মিশেলকে ছাড়া ওবামার উপস্থিতি গুঞ্জন আরও বাড়িয়ে তুলেছিল। এবার তা নিয়ে মুখ খুললেন ওবামা নিজেই। হ্যামিলটন কলেজের এক অনুষ্ঠানে তিনি কার্যত কবুল করলেন, প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন দাম্পত্য জীবনে অত্যন্ত সংকট তৈরি হয়েছিল। তা থেকে বেরিয়ে আসতে প্রতিনিয়ত নিজের সঙ্গে সংগ্রাম করতেন।
সেই আটের দশকে আইন কলেজে পড়ার সময় থেকে বারাক ও মিশেলের পরিচয়, প্রেম। নয়ের দশকে বিয়ে করেন তাঁরা। দুই মেয়ে মালিয়া, সাশাকে নিয়ে সুখী দাম্পত্য ছিল ওবামার। ২০০৯ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হন তিনি। পরপর দু'বার সেই পদে ছিলেন। দ্বিতীয় দফায় তাঁর সামনে বহু চ্যালেঞ্জ ছিল। তারই দোসর হয়ে উঠেছিল মিশেলের সঙ্গে সম্পর্কে শৈত্য। এমন নাকি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যে দু'জনে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তই প্রায় নিয়ে ফেলেছিলেন। এত বছর পর ফের বারাক-মিশেলের সম্পর্কে ওঠাপড়ার ইঙ্গিতে উঠে আসছে পুরনো প্রসঙ্গ।
মিস্টার অ্যান্ড মিসেস ওবামা।
চলতি বছর প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের শেষকৃত্য থেকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে একাই দেখা গিয়েছিল বারাক ওবামাকে। সঙ্গে ছিলেন না মিশেল। তাতেই ফের গুঞ্জন শুরু হয়, তাহলে কি বিচ্ছেদ হয়েই গেল? তার মধ্যে আবার হলিউড অভিনেত্রী জেনিফার অ্যানিস্টনের সঙ্গে তাঁর প্রেম নিয়েও চর্চা শুরু হয়। এবার সেসব নিয়েই মুখ খুললেন খোদ ওবামা। হ্যামিলটন কলেজের অনুষ্ঠানে সঞ্চালক স্টিভেন টেপারের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসের জীবন খুব একটা সুখকর হয়নি তাঁর। কাজের চাপ তো ছিলই। মিশেলের সঙ্গে সম্পর্কও টালমাটাল অবস্থায় চলে গিয়েছিল। ওবামার কথায়, ''খুবই গভীর সংকট তৈরি হয়েছিল। আমি সেই অবস্থা থেকে নিজেকে বের করে আনতে খুব চেষ্টা করেছি। অনেক কিছু করতাম। কখনও কখনও মিশেলের সঙ্গে কথা বলার জন্য মজার কিছু করতাম।''
সুখী দাম্পত্য!
এসবের মাঝেই 'এ প্রমিসড ল্যান্ড' নামে একটি বই প্রকাশিত হয় ওবামার। তিনি কি লিখতে ভালোবাসতেন? স্টিভেনের এই প্রশ্নের জবাবে ওবামা জানান, মোটেই নয়। লিখতে তাঁর একঘেয়ে লাগত। কিন্তু ভাবতেন, লেখাটা শেষ করলে হয়ত তিনি এক দমবন্ধকর পরিবেশ থেকে নিস্তার পাবেন। তাই বই লেখা শেষের পর আনন্দ পেয়েছিলেন। তবে এখন ওবামা দম্পতির জীবন মসৃণভাবেই এগোচ্ছে। গুঞ্জন এড়িয়ে নিজেদের মতো দিন কাটাচ্ছেন, ভালোবেসে, ভালো থেকে।