সুপর্ণা মজুমদার: “যে ক্ষমা দেয় প্রশ্রয়/যে প্রশ্রয় ভাঙে মন/সেই মন চায় স্পর্ধা/সেই স্পর্ধা আনে ক্রোধ”। আর ক্রোধের পরিণাম হতে পারে মারাত্মক। কর্মফল সারাটা জীবন মানুষকে তাড়া করে বেড়ায়। জীবনের এমনই কিছু জটিল রহস্যের কথা বলবে অর্ণব রিঙ্গো বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কর্মা’ (Karma)। আড্ডাটাইমস (Addatimes) অরিজিনাল ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় সাহেব ভট্টাচার্য (Shaheb Bhattacherjee) ও নবাগতা পৃথা সেনগুপ্ত (Pritha Sengupta)।
ছবিতে সিদ্ধার্থের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাহেব। পৃথা রয়েছেন সঞ্জনার চরিত্রে। দু’জনের মনে রয়ে যাবে এই শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা। কারণ সেটে ঘটে কিছু অনভিপ্রেত ঘটনা। ছবিতে সঞ্জনার পোষা দু’টি মাগুর মাছ রয়েছে। একটি দৃশ্যে মরা মাগুর মাছের সঙ্গে শট ছিল পৃথার। ইউনিটের সদস্যরা দু’টি প্রাণহীন মাছ এনে সেটে রেখেও দিয়েছিলেন। নিথরভাবেই পড়েছিল মাছ দু’টি। কিন্তু শট দেওয়ার সময় আচমকাই একটি মাগুরমাছ বেঁচে ওঠে, জানান পৃথা। পৃথার ভয় পাওয়ার এই কাহিনি সাহেবেরও জানা। পৃথার সঙ্গে রোমান্টিক দৃশ্য করতে গিয়ে প্রায় একইরকম অভিজ্ঞতা হয়েছিল তাঁর। তীব্র গরম ছিল সেদিন। আবহাওয়ার পরিবর্তনের কোনও আভাস ছিল না। কিন্তু আচমকাই প্রবল বেগে হাওয়া দিতে থাকে। তাপমাত্রা নেমে যায়। অবশ্য শট ভালভাবেই সম্পন্ন হয়।
[আরও পড়ুন: আলতা রাঙানো পায়ের ছবি দিয়ে মৃত্যুর পরবর্তী ইচ্ছে জানালেন স্বস্তিকা! হঠাৎ হলটা কী?]
ডার্ক থ্রিলার ‘কর্মা’। ছবির পরতে পরতে সিদ্ধার্থ ও সঞ্জনার ধূসর দিকগুলো উন্মোচিত হয়েছে। ভাল কিংবা খারাপের নিরিখে নিজের চরিত্র ব্যাখ্যা করতে নারাজ সাহেব। তাঁর মতে, এই শব্দ দু’টো বড্ড আপেক্ষিক। মানুষের জীবন এর থেকেও বেশি কিছু। আড্ডাটাইমসের একটি প্রজেক্টে ছোট্ট চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন পৃথা। তারপরই ‘কর্মা’র অফার পান। মুখ্য চরিত্র করার প্রস্তাব এর আগেও পেয়েছিলেন তিনি। তবে বেছেই নিজের শুরুটা করতে চেয়েছিলেন। ছবির কাহিনি শুনেই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। নিজে সাইকোলজির ছাত্রী হওয়ার কারণে প্রতিমুহূর্তে সঞ্জনার মনস্তত্ত্ব বোঝার চেষ্টা করেছেন। চরিত্রকে আত্মস্থ করেছেন।
বৃহস্পতিবার আড্ডাটাইমসে মুক্তি পাচ্ছে ‘কর্মা’। সাহেব-পৃথা ছাড়াও ছবিতে রয়েছেন শাঁওলি চট্টোপাধ্যায়, ডিউক বসু, পায়েল রায়, বিশ্বজিৎ ঘোষ। সাহেব-পৃথা দু’জনেই ছবি নিয়ে আশাবাদী। ‘কর্মা’ ছাড়াও সম্প্রতি সৌরসেনীর সঙ্গে একটি ছবির শুটিং শেষ করেছেন সাহেব। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে তাঁর ‘ভোরের পাখি’ ও ‘অপরহরণ’। এছাড়াও হইচইয়ের একটি জনপ্রিয় সিরিজে নেগেটিভ চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। চলতি বছর অনেক কিছু শিখিয়েছে সাহেবকে। প্রকৃতির কাছে মানুষ কতটা তুচ্ছ তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে এই বছর। বছর শেষে, প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলাই মানুষের লক্ষ্য হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। কোভিড (COVID-19) পরিস্থিতিকে পুরোপুরি নেগেটিভ বলতে নারাজ পৃথাও। দূষণ কমার পাশাপাশি মানুষ মানুষকে গুরুত্ব দিতেও শিখেছে বলে মনে করেন তিনি।