সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের পর যাবতীয় বিতর্ক যেন ইভিএম নিয়ে। কেউ বলছে, ইভিএম কারচুপি হয়েছে। কারও দাবি, রাতারাতি ইভিএম চুরি করে নিতে চাইছে বিজেপি। তারপর আবার ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাট স্লিপ মিলিয়ে দেখা নিয়ে হাজারো বিতর্ক। বিরোধীদের প্রথমে দাবি ছিল, একশো শতাংশ ভিভিপ্যাট স্লিপ মিলিয়ে দেখতে হবে। আবার কেউ বলছেন, অন্তত ৫০ শতাংশ মেলানো উচিত। উলটোদিকে, গণনার সময়ও অনেকে বলছেন, আগে ভিভিপ্যাট মেলানো হোক, তারপর ইভিএমে গোনা হোক। কেউ কেউ তো আবার ইভিএম পুরোপুরি বাতিল করে দেওয়ারই দাবি জানাচ্ছেন।
[আরও পড়ুন: মোদি সরকারের আরও পাঁচ বছর অন্ধকারে ঠেলে দেবে ভারতকে!]
কিন্তু, প্রশ্ন হল যে ইভিএম নিয়ে এত বিতর্ক ভোটের পর সেই ইভিএমের হয়টা কী? এমনিতে নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু হওয়ার পর থেকে ভোটের ফলপ্রকাশ পর্যন্ত চূড়ান্ত সতর্কতার মধ্যে রাখা হয় ইভিএমগুলিকে।সবসময় থাকে কড়া নিরাপত্তায়। ভোটের পর সিল করা হয় ইভিএমগুলিকে। সেখান থেকে স্ট্রং রুম। স্ট্রং-রুম থেকে যায় গণনাকেন্দ্রে। এতক্ষণ পর্যন্ত ইভিএমের কদর থাকে। গণনা শেষ হলে ইভিএম চলে যায় নির্বাচন কমিশনের জিম্মায়। ভোট মেটার পর পরবর্তী ভোট আসা পর্যন্ত ইভিএমগুলি অকেজো হয়ে পড়ে থাকে। যে যন্ত্র নিয়ে এত বিতর্ক, সেই যন্ত্রকে কেউ তোয়াক্কাও করে না। কিন্তু, এই যে ‘কুলিং-অফ পিরিয়ডে’ ইভিএমগুলি পড়ে থাকে বড্ড অযত্নে।
[আরও পড়ুন: এক্সিট পোল নিয়ে প্রথম মুখ খুললেন রাহুল গান্ধী, বার্তা দিলেন কর্মীদের]
ভোটের পর ইভিএমগুলি চলে যায় জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে। সেখানে জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের ট্রেজারিতে জমা করে রাখা থাকে। যে ঘরে রাখা থাকে সেই ঘরে গোটা দুই তালা লাগানো হয়। ঘরের ভিতরে থেকে সিসিটিভি। বাইরে মোতায়েন থাকে গোটা দুই পুলিশ। ভোট এলেই ইভিএমগুলি পাঠিয়ে দেওয়া হয় বিভিন্ন বিধানসভার নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে। ভোট ঘোষণা হলেই ইভিএমগুলি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের দিয়ে পরীক্ষা করানো হয়। কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি হাজির না থাকলে সেক্ষেত্রে তাদের দলীয় কার্যালয়ে পাঠানো হবে ইভিএম।দলীয় কার্যালয় থেকে পরীক্ষা করানোর পর ইভিএমগুলি যায় প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে।
The post জানেন, ভোটের পর কোথায় যায় ইভিএম? appeared first on Sangbad Pratidin.