সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবার দুর্নীতির অভিযোগ অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার (Himanta Biswa Sarma) স্ত্রী রিনিকি ভুঁইয়া শর্মার বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে ১০ কোটি টাকা ভর্তুকি আদায়ের অভিযোগে বিদ্ধ তিনি। এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন হিমন্ত। দাবি করলেন, যদি সত্যিই তাঁর স্ত্রী এরকম কিছু করে থাকেন, তবে সেজন্য তিনি যে কোনও শাস্তি মাথা পেতে নিতে ইচ্ছুক। এমনকী, অবসরও নিয়ে নিতে পারেন।
ঠিক কী বলেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী? তাঁর কথায়, ”আমি আবার জোর দিয়ে বলতে চাই যে আমার স্ত্রী বা তিনি যে সংস্থার সঙ্গে যুক্ত, তারা ভারত সরকারের কাছ থেকে কোনও অর্থ গ্রহণ করেনি বা দাবিও করেনি। কেউ প্রমাণ দিতে পারলে আমি অবসর গ্রহণ থেকে যে কোনও শাস্তি মেনে নিতে রাজি আছি।”
[আরও পড়ুন: কারও ছেলের বয়স একমাস, কারও মেয়ে দুমাসের! শোকে পাথর কাশ্মীরে শহিদ ৩ নিরাপত্তারক্ষীর পরিবার]
উল্লেখ্য, জমি দুর্নীতি, পিপিই কিট কেলেঙ্কারির অভিযোগের পর হিমন্ত বিশ্ব শর্মার স্ত্রীর বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ এনেছেন অসমের কংগ্রেস (Congress) নেতা গৌরব গগৈ। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দাবি করেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাধারণ কৃষকদের জন্য ‘কিষান সম্পদ’ প্রকল্পে ভরতুকির কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু অসমের মুখ্যমন্ত্রী প্রভাব খাটিয়ে নিজের পরিবারের জন্যেও ভরতুকির বন্দোবস্ত করে ফেলেছেন।” ওই একই অভিযোগে সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেসও।
আসলে এক সংবাদমাধ্যমের দাবি, রিনিকির সংস্থা প্রথমে বেআইনিভাবে প্রচুর কৃষিজমি কিনেছে। তারপর সেটাকে রাতারাতি শিল্পোদ্যোগী জমি হিসাবে চিহ্নিত করে ফেলেছেন। সেই সংস্থাই ‘অ্যাগ্রো প্রসেসিং ক্লাস্টার’ নির্মাণ প্রকল্পের অধীনে কেন্দ্রীয় সাহায্যের আবেদন করে এবং ১০ কোটি টাকা পেয়েও যায়। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। স্বাভাবিকভাবেই হিমন্ত বিশ্বশর্মার ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আর তাই এবার অভিযোগের ‘জবাব’ দিতে দেখা গেল তাঁকে।