সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একশো কোটির ক্লাবে ঢুকে পড়েছে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ (The Kashmir Files)। ছবি নিয়ে নানা মহলের নানা মত। এবার মুখ খুললেন নানা পাটেকর (Nana Patekar)। হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ এই ভারতেরই বাসিন্দা। দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজনের চেষ্টা কাম্য নয়। এমন ছবি সমাজকে টুকরো টুকরে করে দিতে পারে বলেই জানান অভিনেতা।
অভিনয়ের থেকে বেশি এখন সামাজিক কাজকর্ম নিয়েই ব্যস্ত থাকেন নানা পাটেকর। ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ সিনেমা প্রসঙ্গে তাঁর মতামত জানতে চান সাংবাদিকরা। তার উত্তর দিতে গিয়ে অভিনেতা জানান, হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ এই ভারতেরই বাসিন্দা। দুই সম্প্রদায়েরই শান্তিতে থাকা উচিত। এঁদের একে অন্যকে প্রয়োজন। পরস্পরকে ছাড়া থাকতে পারবেনও না। কোনও এক ছবির জন্য বিভাজনের পরিস্থিতি তৈরি হওয়া ঠিক নয়। সকলেই যেন শান্তিতে থাকেন। এমন ছবির মাধ্যমে যাঁরা সেই চেষ্টা করছেন তাঁদের কাছে জবাব চাওয়া উচিত। জানানো উচিত, এমনটা করলে সমাজের টুকরো টুকরো হয়ে যাবে।
[আরও পড়ুন: তামিল ছবির রিমেক ‘বচ্চন পাণ্ডে’, পেশির জোরে নায়ক হতে পারলেন অক্ষয়?]
নব্বইয়ের দশকে কাশ্মীর থেকে কীভাবে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উৎখাত করা হয়েছিল, কীভাবে পরিবারগুলির উপর চলেছিল নিপীড়ন, সেই বাস্তব চিত্রই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন পরিচালক। ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী, অনুপম খের, পল্লবী যোশী, দর্শন কুমারের মতো তারকারা।
মুক্তির আগে থেকেই ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবি নিয়ে উত্তপ্ত রাজনৈতিক মহল। ছবি মুক্তি পাওয়ার পর যার আঁচ আরও বেড়েছে। ছবির প্রশংসা শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) গলায়। তবে বিরোধীরাও তোপ দাগতে ছাড়েনি। তাদের অভিযোগ, অর্ধসত্য দেখানো হয়েছে ছবিতে। অনেকে আবার একে মোদি সরকারের প্রচারমূলক ছবি বলেও কটাক্ষ করেছেন। শোনা গিয়েছে, এই ছবি মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর শত্রু সংখ্যা বেড়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। আর সেই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে বিবেক অগ্নিহোত্রীকে দেওয়া হয়েছে ‘y’ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা।