সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে ফের জটিলতা। রাজ্য সরকারের পেশ করা তালিকায় ১৫টি নামের মধ্যে ৭টিতে আপত্তি জানালেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বাকি ৮ জনকে নিয়োগ করতে হবে এক সপ্তাহের মধ্যে। এর পর আচার্যকে ফের তালিকা দেবে রাজ্য সরকার। সেই তালিকা থেকে বাছাই করা হবে আরও ৭ উপাচার্যকে। সুপ্রিম কোর্টই সার্চ কমিটি গঠন করে দেবে। গ্রীষ্মবকাশের মধ্যেই এই সার্চ কমিটিটি গঠন করতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১২ জুলাই।
রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্য নিয়োগের জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। এই মামলার আগে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল আনন্দ বোস(C V Ananda Bose)। উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অভিযোগ ছিল, তাদের না জানিয়েই নিজের পছন্দ মতো ব্যক্তিদের নিয়োগ করছেন বোস। এই পরিস্থিতিতে গত সোমবারই রাজ্যের আরও তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তবর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল। ঝাড়গ্রামের সাধুরাম চাঁদ মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক কল্লোল পালকে। তারকেশ্বর রানি রাসমণি গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঠাকুরনগরের হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে আশুতোষ ঘোষকে। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের অধ্যাপক।
[আরও পড়ুন: ১০ বছরে কেন একবারও সাংবাদিক সম্মেলন করেননি? অবশেষে উত্তর দিলেন মোদি]
গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যপালকে মৌখিক নির্দেশ দেয়, রাজ্যের তৈরি করা তালিকা থেকেই ২১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করতে হবে। সুপ্রিম নির্দেশিকায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু দাবি করেন, আচার্যের কৌঁসুলি আদেশে ২১ জন উপাচার্য নিয়োগের নির্দেশের রেকর্ড না রাখার অনুরোধ করেছিলেন। সেই প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার যাবতীয় প্রচেষ্টা সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেয়েছে। তবে শুক্রবার সর্বোচ্চ আদালতে মামলার শুনানিতে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের পেশ করা তালিকার ৭টি নামে আপত্তি রয়েছে রাজ্যপালের। তার ফলে ফের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে ফের জারি জটিলতা।