সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৃত্যু (Death) জীবনের এক অমোঘ গন্তব্য। পৃথিবীর সব ধর্মেই মৃতের অন্ত্যেষ্টি নিয়ে নানা রকমের বিশ্বাস রয়েছে। প্রিয়জনের মৃত্যুতে শোকাতুর আত্মীয় পরিজন চান যেন তাঁর শেষ কাজটি ঠিকভাবে সম্পন্ন করা যায়। আর তাই নানা নিয়ম মেনে চলেন তাঁরা। সনাতন হিন্দু (Hindu) ধর্মের নিয়মানুসারে কোনও হিন্দু ব্যক্তির মৃত্যুর পরে শবদেহকে (Dead body) কখনও একা রাখা হয় না। এর পিছনেও রয়েছে বিশেষ কারণ।
এবিষয়ে পরিষ্কার ব্যাখ্যা রয়েছে গরুর পুরাণে। সেখানে বলা হয়েছে, মৃতদেহকে কখনও একা রাখা উচিত নয়। কেউ না কেউ যেন শব ছুঁয়ে থাকেন। কিন্তু কেন? এপ্রসঙ্গে পৌরাণিক ব্যাখ্যা, বিশেষত রাতের দিকে প্রেতাত্মারা সক্রিয় থাকে। অর্থাৎ শূন্যে অদৃশ্য থেকে তারা বিচরণ করে। এই সময় যদি কোনও শবদেহ অরক্ষিত থাকে, তাহলে সেই দেহের দখল নিতে পারে প্রেতাত্মারা। এর ফলে ঘটে যেতে পারে অনর্থ। এই কারণেই শবদেহকে সব সময় ছুঁয়ে থাকতে হয়। তাকে একা ফেলে যেতে নেই।
[আরও পড়ুন: পেট্রল পাম্পে বন্দুক দেখিয়ে হুমকি, আগ্নেয়াস্ত্র-সহ বাঁকুড়ায় গ্রেপ্তার বিজেপির যুব মোর্চা নেতা]
এরই সঙ্গে আরও একটি কথা বলা হয়েছে। কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হলে তাঁর আত্মা শরীর ছেড়ে বেরিয়ে গেলেও তখনই সেই আত্মা দূরে যেতে পারে না। তাকে ঘুরতে হয় শরীর আশপাশেই। সেই সময় যদি ওই ব্যক্তির শবদেহটি একলা পড়ে থাকে, যদি পাশে কোনও আত্মজন না থাকেন, তাহলে সেই আত্মা কষ্ট পেতে পারে।
এই ধরনের পৌরাণিক ব্যাখ্যার পাশাপাশি আরও একটি কারণ রয়েছে। আসলে মৃতদেহের শরীরকে লক্ষ্য করে অনেক সময়ই পিঁপড়ে বা অন্য কীটপতঙ্গরা এগিয়ে আসে। তাই সব সময় একজন কাউকে কাছ থেকে মৃতদেহের দিকে নজর রাখতে হয়। সেই জায়গা থেকেও শবদেহ ছুঁয়ে থাকার প্রথা চালু রয়েছে সেই আদিকাল থেকে। যা আজও মেনে চলা হয়।