সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সারা ভারতের সংগীত অনুরাগীদের কাছে তিনি সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় (Sandhya Mukherjee)। কিন্তু হাসপাতালে যখন কিংবদন্তি শিল্পীকে ভরতি করা হয়েছিল, তখন তাঁর পদবি হিসেবে লেখা হয় গুপ্ত। কিন্তু কেন? কারণ বিবাহ সূত্রে শিল্পীর পদবি তাই।
১৯৬৬ সালে কবি, গীতিকার শ্যামল গুপ্তর সঙ্গে বিয়ে হয় সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের। ব্যক্তিগত জীবনের পাশাপাশি পেশাগত জীবনেও একাধিকবার জুটি বেঁধেছেন দু’জন। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের জন্য বহু গান লিখেছেন শ্যামল গুপ্ত। পাশাপাশি কবিতা, গল্পও লিখতেন তিনি। বৃহস্পতিবার যখন ৯০ বছরের গীতশ্রীকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি করা হয়, তখন স্বামীর পদবিই তাঁর নামের পাশে ব্যবহার করা হয়।
[আরও পড়ুন: Uttoron Web Series Review: সাইবার ক্রাইমের গল্পে মধুমিতার দুর্বল অভিনয়! কেমন হল ‘উত্তরণ’?]
শোনা গিয়েছে, বুধবার রাতে বাথরুমে পড়েও যান সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর। গ্রিন করিডর করে শিল্পীকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। উডবার্ন ওয়ার্ডে ১০৩ নম্বর বেডে তাঁকে রাখা হয়। শিল্পীর চিকিৎসার জন্য ৭ সদস্যের বিশেষজ্ঞ টিম তৈরি করা হয়।
এদিন বিকেলেই শিল্পীকে দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসএসকেএমের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলার পর তিনি জানান, কোভিড পজিটিভ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। বুকে আঘাত পেয়েছেন তিনি। কিংবদন্তি শিল্পীর হৃদযন্ত্রের অবস্থা বিশেষ ভাল নয়। শিল্পীর শারীরিক অবস্থা বিচার-বিবেচনা করেই তাঁকে অ্যাপোলো হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে। সেই মতো সন্ধ্যার পর আবারও গ্রিন করিডরের মাধ্যমে শিল্পীকে বাইপাসের অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানান, আগে থেকেই শিল্পীর হার্টের সমস্যা ছিল। অক্সিজেন লেভেল বেশ কমে গিয়েছিল কিংবদন্তির। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের টিম শিল্পীকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।
গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ভারত রত্ন। বাংলা মানুষের গর্ব তিনি। “কি মিষ্টি দেখো মিষ্টি…”র মতো বহু গান তিনি উপহার দিয়েছেন শ্রোতাদের। ৯০ বছরের শিল্পী যেন কোভিড(COVID-19) সুস্থ জীবনে ফিরে আসেন, সেই প্রার্থনা করার আরজি জানান মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, সাধারণতন্ত্র দিবসের আগেই পদ্মশ্রী প্রত্য়াখ্যান করেছেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। শিল্পী নিজেই জানান, খুবই অপমানজনকভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে ফোন করে তাঁকে পদ্মশ্রী দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। অপমানিত হয়েই তা প্রত্য়াখ্যান করেন তিনি।