সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডার বিক্রমের খোঁজ মেলা মাত্রই তার সঙ্গে যোগাযোগের আপ্রাণ চেষ্টা করছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার আধিকারিকদের একাংশের ধারণা, বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগের প্রক্রিয়া জটিল হলেও অসম্ভব নয়। যদিও এই মুহূর্তে মূল সমস্যা হল ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য বেশি সময় হাতে নেই। কারণ ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান দু’জনেরই বয়স মাত্র ১৪ দিন। অর্থাৎ ইসরোর কাছে সময় আছে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তাঁর আগেই যোগাযোগ সাধন করতে হবে ল্যান্ডারের সঙ্গে। তা না হলে কোনও তথ্য দেওয়ার আগেই অকালমৃত্যু হবে বিক্রম এবং বিজ্ঞানের।
[আরও পড়ুন: ‘ব্রাহ্মণরাই শ্রেষ্ঠ, সমাজের পথপ্রদর্শক’, বিতর্কিত মন্তব্য স্পিকার ওম বিড়লার]
কিন্তু, প্রশ্ন হল চন্দ্রযানের অরবিটারের বয়স যেখানে ৭ বছর, সেখানে ল্যান্ডার এবং রোভারের বয়স এক কম কেন? বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর কারণ হল চাঁদের তাপমাত্রার তারতম্য। চাঁদের মাটিতে সে অর্থে কোনও বায়ুমণ্ডল নেই। যার ফলে সূর্যের তাপকে বাধা দেওয়া বা তার বিকিরণ রুখে দেওয়ার ক্ষমতা নেই চাঁদের। যার ফলে দিন আর রাতে চাঁদের তাপমাত্রার ফারাক অনেক। দিনে যেখানে তাপমাত্রা গড়ে ১০৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাতে সেখানে তাপমাত্রা কমতে কমতে গড়ে দাঁড়ায় -১৮৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। কোনও কোনও সময় তা -২০০ ডিগ্রিরও নিচে নেমে যায়। চন্দ্রযানের ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার বিক্রমের দিনের বেলার এই বাড়তি তাপমাত্রা সহ্য করার ক্ষমতা আছে। কিন্তু, -১৮৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে না। ফলে, চাঁদের মাটিতে রাত হলেই নষ্ট হয়ে যাবে বিক্রম এবং প্রজ্ঞান।
[আরও পড়ুন: গৃহবন্দি অন্ধ্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু, জগন সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে টিডিপি]
চাঁদের একদিন পৃথিবীর প্রায় ১৪ দিনের সমান। তেমনি, চাঁদের এক রাতও পৃথিবীর ১৪ দিনের সমান। ল্যান্ডার বিক্রম যেদিন চাঁদে নামে সেদিনই চাঁদের দিন শুরু হয়েছিল। ১৪ দিন পরে শুরু হবে চাঁদের রাত। রাত শুরুর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কমে যাবে -১৮০ থেকে -২০০ ডিগ্রি পর্যন্ত। যা সহ্য করতে পারবে না বিক্রম বা প্রজ্ঞান। চাঁদের তাপমাত্রার এই তারতম্যের জন্যই ল্যান্ডারের আয়ু মাত্র ১৪ দিন। তাই বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করছেন, ২১ সেপ্টেম্বরের আগেই বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ করার।
The post ল্যান্ডার বিক্রমের আয়ু মাত্র ১৪ দিন, কেন জানেন? appeared first on Sangbad Pratidin.