সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীতের আমেজে জমে উঠেছে ২৮তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (28th KIFF)। প্রথম দিনেই সিনেপ্রেমীদের উৎসাহ ছিল দেখার মতো। দ্বিতীয় দিন আবার শনিবার। অর্থাৎ ভরপুর উইকএন্ড। কোন কোন সিনেমা নজরে থাকবে?
সকালবেলা যদি সিনেমা দেখার সাধ হয় তাহলে চলে যেতে পারেন নন্দন ১ প্রেক্ষাগৃহে। সেখানে সকাল সাড়ে এগারোটায় রয়েছে ইরানি ড্রামা ‘খের নিস্ট’ (নো বিয়ার্স)। পরিচালনায় ইরানের ‘নিউ ওয়েব’ সিনেমার অন্যতম ব্যক্তিত্ব জফর পানাহি। ছবিতে কুসংস্কার, ক্ষমতার বাড়বাড়ন্তের পাশাপাশি ভালবাসার কাহিনিও দেখা যাবে।
বিকেল সাড়ে চারটের সময় নন্দন ১-এ দেখা যাবে কিম কি দুকের সিনেমা ‘কল অফ গডস’। ৮১ মিনিটের এই সিনেমায় ভালবাসার গভীরতা বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
সন্ধে সাতটা থেকে এই প্রেক্ষাগৃহেই দেখা যাবে সুমন মুখোপাধ্যায়ের ‘নজরবন্ধ’ এবং গৌতম ঘোষের ‘মুজিব ইন ক্যালকাটা’। জেল থেকে ছাড়া পাওয়া বাসন্তী ও চন্দুর কাহিনি ‘নজরবন্ধ’। অপরাধের প্রবনতার মধ্যেও ভালবাসার সূক্ষ্মতা রয়েছে ট্রেলারে। অন্যদিকে, ‘মুজিব ইন ক্যালকাটা’য় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের কলকাতা যাপনের কাহিনি ফুটিয়ে তুলেছেন গৌতম ঘোষ।
[আরও পড়ুন: চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে অরিজিতের ‘গেরুয়া…’ গান নিয়ে রাজনীতি বিজেপির, পালটা তৃণমূলের]
শনিবার কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ জাতীয় পুরস্কারজয়ী পরিচালক রিমা দাসের ”তোরা’জ হাজব্যান্ড’। বিশ্বজুড়ে অতিমারীর প্রকোপ এবং তার প্রভাবে মূল চরিত্রদের মানসিক অবস্থা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ছবিতে। উল্লেখ্য, টরোন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে স্ট্যান্ডিং ওভেশন পেয়েছে ছবিটি। অর্থাৎ উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে অভিবাদন জানিয়েছেন দর্শকরা। বিকেল চারটেয় নন্দন ২-এ দেখা যাবে ‘তোরা’স হাজব্যান্ড’।
সন্ধে সাড়ে ছ’টায় এই প্রেক্ষাগৃহেই আবার দেখা যাবে সৌকর্য ঘোষালের ‘ওসিডি’। ছবিতে মুখ্যভূমিকায় জয়া আহসান, কৌশিক সেন, ফজলুর রহমান বাবু, কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রেয়া ভট্টাচার্য, অনসূয়া মজুমদার। শনিবার সাত সকালে যদি একটু পুরনো ছবি দেখার ইচ্ছে হয় তাহলে নন্দন ৩ প্রেক্ষাগৃহে চলে যেতে পারেন। সেখানে প্রয়াত পরিচালক তরুণ মজুমদারকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সকাল সাড়ে এগারোটায় দেখানো হবে ‘বালিকা বধূ’।
রবীন্দ্রসদনে সন্ধে সাড়ে ছ’টায় দেখানো হবে ‘আকরিক’। তথাগত ভট্টাচার্যর পরিচালনায় এই ছবিতে অভিনয় করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়। যৌথ পরিবার কীভাবে ভেঙে নিউক্লিয়ার ফ্যামিলিতে পরিণত হচ্ছে, তা এই ছবিতে দেখানো হয়েছে।