সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাগাতার কটাক্ষতেই শেষ নয়। এবার হিরো আলমের (Hero Alam) ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে স্ট্রাইক দেওয়ার অভিযোগ। বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হিরো আলম তথা আশরাফুল হোসেন আলম।
ব্যাপারটা ঠিক কী? নিজের ফেসবুক পেজ থেকেই একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন হিরো আলম। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন ডিবি (ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ) অফিসে যাওয়ার কথা এবং তার কারণ। হিরো আলমের কথায়, “আমি ডিবি অফিসে যেতে চাইনি। কারও নামে অভিযোগ করার কোনও ইচ্ছেও আমার ছিল না। কিন্তু আমাকে বাধ্য করা হল।” অভিযোগ, কেউ বা কারা পরিকল্পনা করে তাঁর একমাত্র ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজে স্ট্রাইক দিচ্ছে। চ্যানেল নষ্ট করে উপার্জন বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। কেউ কেউ আবার হিরো আলমের কনটেন্ট চুরি করে তা নিজের বলে নিজের পেজে ব্যবহার করছেন। এছাড়া অপমান, কুকথা তো রয়েছেই। এই সব কিছু থেকে মুক্তি পেতেই অবশেষে আইনের দ্বারস্থ হিরো আলমের।
[আরও পড়ুন: অভিনেত্রী পল্লবী চট্টোপাধ্যায়কে ‘মৃত’ বলে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও লক্ষাধিক টাকা!]
হিরো আলম এদিন ফের সকলের সামনে তুলে ধরেছেন তাঁর অসহায়তার কথা। বলেন, “আল্লাহ ছাড়া কেউ কোনওদিন আমার সাহায্য করেনি। আমিও অনেক কিছু করতে পারতাম। হয়তো অনেকের থেকে ভাল করে পারতাম। কিন্তু নুন আনতে পান্তা ফুরোয় সংসারে কিছুই শিখতে পারিনি।” কিন্তু তা সত্ত্বেও সৎ পথে যা উপার্জন করছেন, তাতেই খুশি তিনি। হিরো আলমের কথায়, “আমার উপার্জন দিয়ে সাধ্য মতো মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি। কারও ক্ষতি করিনি।” তাঁর কাতর আর্তি, “আপনাদের পছন্দ না হলে, আমার ভিডিও দেখবেন না। কিন্তু এরকম করবেন না। সকলে ভাল ভাবে থাকুন।”