সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এখনও গাজায় পণবন্দি বহু ইজরায়েলি। হামাসের কবল থেকে তাঁদের মুক্ত করতে এক বিপজ্জনক মিশনে শামিল আইডিএফ। আর সেই মিশনে প্রাণ হারালেন আর্নন জামোরা। কিন্তু মৃত্যুর আগে ইজরায়েলি সেনাকে হামাসের কবল থেকে বাঁচালেন এই কমান্ডার।
ইজরায়েল (Israel) প্রশাসনের তরফে এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্টে একথা জানানো হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রক যে বিবৃতি পেশ করেছে সেখানে বলা হয়েছে, 'প্রতিটি উদ্ধারকারী মিশনে ইজরায়েলি পুরুষ ও মহিলারা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নেন। আমরা দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি চিফ ইনস্পেক্টর আর্নন জামোরা যিনি কমান্ডার ও ইয়ামামের ট্য়াকটিক্যাল অপারেটর, যিনি গুরুতর আহত হয়েছিলেন পণবন্দিদের উদ্ধারকার্যে নেমে, তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।'
৩৬ বছরের ওই কমান্ডার রেখে গেলেন স্ত্রী ও দুই সন্তানকে। তাঁর বাবা-মা এখনও জীবিত। গত ৭ অক্টোবর হামাসের (Hamas) হামলার পর বহু হামাস জঙ্গিকে ইজরায়েলে অনুপ্রবেশ করতে বাধা দেন জামোরা। পরবর্তী সময়েও তিনি যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। এবার তিনি প্রাণ হারালেন মিশনে যোগ দিয়ে। তবে মিশনটি সফল হয়েছে। চারজন পণবন্দিকে উদ্ধার করেছে ইজরায়েলি সেনা। কিন্তু সাফল্য়ের মাঝেই কাঁটা হয়ে থেকে গেল জামোরার প্রয়াণ।
[আরও পড়ুন: একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জমানায় নয়, দেশের আর্থিক উন্নতিতে অবদান বেশি ‘মিলিজুলি’ সরকারেরই!]
এদিকে জানা গিয়েছে, ইজরায়েল ও ইজরায়েলি সেনাকে কালো তালিকাভুক্ত করতে চলেছে রাষ্ট্রসংঘ। যুদ্ধে শিশুদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থতার অভিযোগের কারণেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর উপরে চাপ বেড়েই চলেছে। তাঁর গ্রেপ্তারির সম্ভাবনাও তৈরি হতে দেখা গিয়েছে। এমনকী, নিজের দেশেই প্রতিবাদের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। বিশেষ করে পণবন্দিদের উদ্ধারে তিনি যথেষ্ট সক্রিয় নন, এই অভিযোগে সোচ্চার পণবন্দিদের পরিবারের সদস্যরা।