সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের হাতে নির্বাচনী বন্ডের তথ্য তুলে দিতে বাড়তি সময় চেয়েছে এসবিআই (SBI)। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) ৬ মার্চ অবধি সময় দিলেও লোকসভা ভোট পেরিয়ে ৩০ জুন অবধি সময় চেয়েছে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কটি। এই ঘটনায় বিজেপিকে (BJP) তোপ দাগল কংগ্রেস (Congress)। তাদের অভিযোগ, তথ্য গোপন করতে ব্যাঙ্ককে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে গেরুয়া শিবির। যাতে করে লোকসভা ভোট পর্যন্ত “অসাংবিধানিক বন্ড”-এর তথ্য গোপন রাখার চেষ্টা করছে বিজেপি।
গোটা বিষয়ে কংগ্রেস নেতা সুপ্রিয়া শ্রীনাতে বলেন, ‘অপ্রত্যাশিত ছিল না, কিন্তু অত্যন্ত মর্মান্তিক এবং নির্লজ্জ ভাবে এসবিআই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। ৩০ জুন পর্যন্ত সময় চেয়েছে। এসবিআই শুধু ভারতের বৃহত্তম ঋণদাতা নয়, এটি একটি সম্পূর্ণ কম্পিউটারাইজড ব্যাঙ্ক। এদের ৪৮ কোটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে, ৬৬,০০০ এটিএম পরিচালনা করে। দেশে এবং দেশের বাইরে প্রায় ২৩,০০০ শাখা রয়েছে। এহেন SBI-এর মাত্র ২২,২১৭টি ইলেক্টোরাল বন্ডের ডেটা দিতে পাঁচ মাস সময় লাগে? এক ক্লিকেই এই তথ্য পাওয়া সম্ভব। নামগুলি বেরিয়ে আসবে বলেই বিজেপি এত ভয় পাচ্ছে?’
[আরও পড়ুন: খেসারত দিতে হবে ৩ কোটি টাকা! পাকিস্তান থেকে সীমা হায়দরকে আইনি নোটিস প্রাক্তন স্বামীর]
সুপ্রিয়া দাবি করেন, ‘২০১৭ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যাঙ্কে ঢুকেছে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে। এর তিন ভাগের দুই ভাগে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা গেছে বিজেপির পকেটে। কংগ্রেস তহবিলে ঢুকেছে খুব বেশি হলে মোট অর্থের ৯ শতাংশ।’ কংগ্রেস নেত্রী আরও বলেন, ‘কে কোন দলকে, কতটা, কোন সময়ে অনুদান দিচ্ছে গণতন্ত্রে জানার অধিকার নেই জনগণের?’ তিনি অভিযোগ করেন, রায় ঘোষণার ২০ দিন পর জেগে উঠে এসবিআই বুঝতে পেরেছে অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজন! আসলে এসবিআই এবং ভারত সরকার দাতাদের নাম গোপন করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে অ্যাসিড হামলার শিকার ৩ ছাত্রী! গ্রেপ্তার এমবিএ ছাত্র]
প্রসঙ্গত, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে জানিয়েছিল, মোদি জমানায় চালু হওয়া ইলেক্টোরাল বন্ড অসাংবিধানিক। দ্রুত তা বন্ধ হওয়া উচিত। সাংবিধানিক বেঞ্চ আরও জানায়, রাজনৈতিক দলগুলি ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অংশ। তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার অধিকার রয়েছে সাধারণ ভোটারদের। ইলেক্টোরাল বন্ড সেই অধিকার খর্ব করছে। তখনই এসবিআইকে সুপ্রিম কোর্টে নির্দেশ দেয়, ৬ মার্চের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে নির্বাচনী বন্ডের তথ্য জমা দিতে হবে। যদিও মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের কাছে অতিরিক্ত সময় চেয়ে আবেদন করেছে ব্যাঙ্ক।