সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাটের জেরে শুক্রবার নির্ধারিত সময়ে দিল্লি ফিরতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী। এদিকে নো ফ্লাই জোনের জেরে আকাশে ওড়ার অনুমতি দেওয়া হল না বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন ও তাঁর স্ত্রী কল্পনা সোরেনের হেলিকপ্টার। এই ঘটনায় বেজার ক্ষুব্ধ বিরোধী শিবির। গোটা ঘটনায় কমিশনকে চিঠি লেখা হয়েছে হাত শিবিরের তরফে। যেখানে অভিযোগ করা হয়েছে, নির্বাচনী প্রচারে সকলের সমান অধিকার থাকা উচিৎ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রচার অন্য সকলের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে না।
শুক্রবার দেওঘরের কাছেই নির্বাচনী সভা ছিল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর। দেওঘর হয়ে কপ্টারে সভাস্থলে যান তিনি। সেখানে থেকে কপ্টারেই তাঁর দেওঘর বিমানবন্দরে ফিরে দিল্লির বিমান ধরার কথা ছিল। সভা শেষে তিনি কপ্টারে উঠে গেলেও ওড়ার অনুনতি দেয়নি দেওঘর এটিসি। এই ঘটনায় কংগ্রেসের অভিযোগ, পক্ষপাতের জেরে রাহুলের হেলিকপ্টার ওড়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এই বিষয়ে কমিশনকে চিঠি লেখেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি।
কমিশনকে লেখা চিঠিতে জয়রাম রমেশের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, এদিন দুপুর ১.১৫-তে গোড্ডা থেকে আকাশে ওড়ার অনুমতি নেওয়া ছিল রাহুল গান্ধীর হেলিকপ্টারের। তবে নির্ধারিত সময়ে তাঁর কপ্টার আকাশে উড়তে দেওয়া হয়নি। বিরোধী দলনেতাকে জানানো হয়, আশেপাশের অন্য নেতাদের প্রটোকলের কারণে নো ফ্লাই জোন লাগু রয়েছে। এই ঘটনার জেরে রাহুল গান্ধীর সমস্ত সভা হয় বিলম্বিত হয়েছে, অন্যথায় বাতিল করা হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা বন্ধ করতে কমিশনের কাছে আবেদন জানাচ্ছি আমরা। এবং সকলের জন্য সমান অধিকার সুনিশ্চিত করা হোক। রমেশের আরও অভিযোগ, বার বার এই ধরনের ঘটনায় শাসকদলের নেতাদের অন্যায়ভাবে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়। যাতে বিরোধী দলের নেতাদের নির্বাচনী প্রচারের সুযোগ কমিয়ে দেওয়া যায়।
বীরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবারই ঝাড়খণ্ডে আসেন মোদি। সেখানে নানা কর্মসূচির পর ফেরার সময় আচমকাই মোদির বিমানটি খারাপ হয়ে যায়। আর তার ফলে বিমানবন্দরেই দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে মোদিকে। জানা যায়, বিমানটি ওড়ার আগেই আচমকা দেখা যায় যান্ত্রিক ত্রুটি।বিশেষজ্ঞের দল বিমানটি পরীক্ষা করে দেখে উড়ান বাতিল করে। দীর্ঘক্ষণ পর বায়ুসেনার বিমানে দিল্লি ফেরেন তিনি।