সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বছরের মার্চে বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু ১৭ দিন পরই তাঁরা বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। অবশেষে স্বামীর 'আপেক্ষিক পুরুষত্বহীনতা'র কারণে দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করল বম্বে হাই কোর্ট (Bombay High Court)। এর আগে পারিবারিক আদালতে তাঁদের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছিল।
উচ্চ আদালতের বিচারপতি বিভা কঙ্কনওয়াড়ি ও বিচারপতি এস জি চপলগাওঁকরের ঔরঙ্গাবাদ বেঞ্চ আবেদনের জবাবে জানিয়েছে, স্বামীর ‘আপেক্ষিক পুরুষত্বহীনতা’র কারণে ওই দম্পতি হতাশার যন্ত্রণায় ভুগছে। একে অগ্রাহ্য করা যায় না। এই বিয়ে বয়ে নিয়ে যাওয়ার মানে হয় না। ২৬ বছরের ওই মহিলা ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে পারিবারিক আদালতের দ্বারস্থ হন। কিন্তু সেখানে আবেদন খারিজ হলে তাঁর স্বামী ২৭ বছরের যুবকটি উচ্চ আদালতে যান। সেখানেই মঞ্জুর হল তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন।
[আরও পড়ুন: প্রকাশ্যেই স্মরণ করান ‘রাজধর্ম’, মরিয়া চেষ্টাতেও মোদিকে সরাতে পারেননি বাজপেয়ী! কেন?]
কিন্তু কী এই 'আপেক্ষিক পুরুষত্বহীনতা'? পুরুষত্বহীনতার (Impotency) সঙ্গে এর ফারাক কোথায়? আসলে পুরুষত্বহীনতার অর্থ মহিলার সঙ্গে সঙ্গমে অক্ষমতা। কিন্তু 'আপেক্ষিক' কথাটির অর্থ, সাধারণ ভাবে সঙ্গমে সক্ষমতা থাকলেও কোনও নির্দিষ্ট মহিলার ক্ষেত্রে যৌনতায় অপারঙ্গম হওয়া। এক্ষেত্রে অভিযোগকারিণী মহিলার অভিযোগ ছিল, তাঁর স্বামী তাঁর সঙ্গে শারীরিক মিলনে আগ্রহী নন। এদিকে পুরুষটি প্রাথমিক ভাবে তাঁর স্ত্রীর উপরেও 'দোষ' চাপান। আদালত জানিয়েছে, প্রথমে তিনি দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন নিজের ‘আপেক্ষিক পুরুষত্বহীনতা’র বিষয়টি স্বীকার করতে। তবে পরে তিনি মেনে নেন বিষয়টি। আসলে এই বিষয়টি তাঁর জন্য সন্তোষজনক ছিল যে, যেহেতু এক্ষেত্রে বিষয়টি 'আপেক্ষিক', তাই তা তাঁর জীবনে স্থায়ী কোনও ছাপ ফেলবে না।