শুভঙ্কর বসু: ফের অনাস্থা প্রস্তাব আনতে হবে। নতুন করে করতে হবে ভোটাভুটি। বনগাঁ পুরসভার আস্থা ভোট প্রসঙ্গে সোমবার এই নির্দেশই দিলেন হাই কোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। ১৬ জুলাইয়ের অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে আদালত। হাই কোর্টের নির্দেশ, আগামী ১২ দিনের মধ্যে ভোট করাতে হবে। যদিও এবার ভোটাভুটি হবে জেলাশাসকের দপ্তরে এবং পুরোপুরি জেলা প্রশাসনের তত্বাবধানে।
[আরও পড়ুন:ধর্মের ঊর্ধ্বে মানবতা, হিন্দুর দেহ সৎকার করলেন মুসলিম পড়শিরা]
বনগাঁ পুরসভার আস্থা ভোটকে কেন্দ্র করে ১৬ ই জুলাই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল এলাকা। তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের বচসায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় পুরসভা চত্বর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। এরই মধ্যে পুরসভায় ঢুকে তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলররা আস্থাভোট করিয়ে নেন বলে অভিযোগ ওঠে। খোদ বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান শংকর আঢ্য দাবি করেন, নির্দিষ্ট সময়ে পুরসভায় হাজির হতে পারেননি বিজেপি কাউন্সিলররা, আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে তৃণমূলই। এরপরই আস্থা ভোটে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি।
সোমবার সেই মামলারই রায় দিল কলকাতা হাই কোর্ট। ১৬ জুলাইয়ের ভোটাভুটি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে। আগামী ১২ দিনের মধ্যে পুনরায় ভোট করানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।সমাপ্তি চট্টেপাধ্যায় জানিয়েছেন, এবার ভোটাভুটির ক্ষেত্রে নির্দেশ না মানা হলে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে আদালত অবমাননার মামলা রুজু করা হবে। পাশাপাশি, কাউন্সিলরদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে পুলিশ সুপারকে। তবে মাস দেড়েকের ব্যবধানে বনগাঁ পুরসভার সমীকরণ অনেকটাই বদলে গিয়েছে। আগে তৃণমূলের কাউন্সিলর ছিলেন ১০ জন, আর বিজেপির ছিলেন ১২ জন। কিন্তু কিছুদিন আগেই বিজেপি থেকে ৩ জন কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। ফলে তৃণমূল কাউন্সিলরের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছেন ১৩ জন, কমে বিজেপির হয়েছে ৯ জন। অর্থাৎ এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল যে এগিয়ে তা বলাই যায়।