সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উচ্চমাধ্যমিকের (High Secondary) টেস্টে পাশ করতে পারেনি। টানাটানির সংসারে মা কষ্ট করে ফর্ম ফিলাপের টাকা জোগাড় করেছিলেন। কিন্তু টেস্টে পাশ না করায় ফর্ম ফিলাপ অর্থহীন হয়ে পড়ে। আর সেই টাকা ফেরত না দিয়ে বিরিয়ানি (Biriyani) কিনে খেয়েছিল যাদবপুর বিদ্যাপীঠের উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রী। আর তা নিয়ে মায়ের সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটি হওয়ার পর অভিমানে আত্মঘাতী হল ছাত্রী। গড়িয়ায় ফাঁকা বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তার ঝুলন্ত দেহ। তদন্তে নেমেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আত্মঘাতী হওয়া যাদবপুর বিদ্যাপীঠের (Jadavpur Bidyapith) ছাত্রীর নাম স্নেহা মুণ্ডা। বয়স ১৭ বছর। গড়িয়ায় মা ও বোনের সঙ্গে থাকত স্নেহা। বাবা মারা গিয়েছেন আগেই। সংসার চালাতে মা কাজ করেন। স্নেহার পড়াশোনার টাকা জোগাড় করতেন কষ্ট করেই। আগামী বছর উচ্চমাধ্যমিক দেবে স্নেহা। ফর্ম ফিলাপের টাকা মেয়ের হাতে দিয়েছিলেন মা।
[আরও পড়ুন: বাইকে বসে ফেসবুক লাইভ! দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল যুবকের]
কিন্তু টেস্টের ফলাফল বেরলে দেখা যায়, স্নেহা পাশ করতে পারেনি। অর্থাৎ পরের বছর তার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসা অনিশ্চিত। ফর্ম ফিলাপের টাকাও তাই আর দরকার ছিল না। কিন্তু সেই টাকা মাকে ফেরত না দিয়ে তা দিয়ে বিরিয়ানি কিনেছিল স্নেহা। খুব ভালোবাসত সে বিরিয়ানি খেতে। তাই টাকা হাতে পেয়ে আর বিরিয়ানি না কিনে থাকেনি। কিন্তু প্রিয় বিরিয়ানি খাওয়ার পরই মর্মান্তিক ঘটনা। মায়ের বকা খেয়ে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) হয়।
[আরও পড়ুন: হার্দিক নাপসন্দ? মুম্বইয়ের মসনদ থেকে রোহিত সরতেই ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট সূর্যর!]
শুক্রবার স্নেহার মা গিয়েছিলেন কাজে। বোনও ছিল না। বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে স্নেহা ওড়নায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে মনে করছে পরিবার। কাজ সেরে মা বাড়িতে ঢোকার সময় দেখেন ফ্ল্যাটের দরজা খোলা। ঢুকেই মেয়েকে এই অবস্থায় দেখে তিনি চিৎকার করেন। প্রতিবেশীরা দৌড়ে আসেন। খবর দেওয়া হয় নরেন্দ্রপুর থানায়। স্নেহাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।