সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইংরাজিতে তুখোড়। তাঁর ব্যবহৃত কঠিন শব্দের পাঠোদ্ধার করতে রীতিমতো দাঁত ভাঙার জোগাড় হয় সাধারণ মানুষের। শব্দ নিয়ে জাগলারিতেও তাঁর জুড়ি মেলা ভার। তিনবারের কংগ্রেস সাংসদ এহেন শশী থারুরের (Shashi Tharoor) শিক্ষাগত যোগ্যতা রীতিমতো ঈর্ষণীয়। পাশাপাশি সম্পত্তির দিক থেকেও কিছু কম যান না তিনি। চতুর্থ বারের জন্য সাংসদ হতে কেরলের তিরুঅনন্তপুরম থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন শশী। সেখান থেকেই প্রকাশ্যে এল শশীর শিক্ষাগত যোগ্যতা ও সম্পত্তির ইতিবৃত্ত। দেখা যাচ্ছে, কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজিয়েট হাই স্কুলের ছাত্র ছিলেন শশী থারুর।
নিজের মনোনয়নপত্রে শশী উল্লেখ করেছেন, তাঁর স্কুল জীবন শুরু হয়েছিল কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজিয়েট হাই স্কুলে। ১৯৭১ সালে স্কুল পাশ করার পর তিনি দিল্লি পাড়ি দেন। ১৯৭৫ সালে দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ থেকে ইতিহাসে স্নাতক হন। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য চলে যান আমেরিকায়। ১৯৭৬ সালে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে (International Relationship) স্নাতকোত্তর পাশ করেন ফ্লেচার স্কুল অফ ল অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি থেকে। ১৯৭৭ সালে আমেরিকার এই কলেজ থেকেই ল অ্যান্ড ডিপ্লোমেসিতেও স্নাতকোত্তর পাশ করেন তিনি। এরপর ১৯৭৮ সালে এই বিষয়ে পিএইচডি করার পর ২০০০ সালে আমেরিকার পাজেট সাউন্ড থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে ডক্টরেট করেন। ২০০৮ সালে ফের একটি ডক্টরেট করেন রোমানিয়ার বুখারেস্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
[আরও পড়ুন: রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে শপথগ্রহণ সোনিয়ার, মজলেন শমীকের বোনের শাড়িতে]
এছাড়াও মনোনয়ন পত্রে নিজের সম্পত্তির হিসেব দিয়েছেন শশী থারুর। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ৫৫ কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তির মালিক তিনি। শুধুমাত্র ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে শশী থারুর আয় করেছেন ৪.৩২ কোটি টাকারও বেশি। স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৪৯ কোটি টাকা। পাশাপাশি অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ নগদ ৩৬ হাজার টাকা ও ৩২ লাখ টাকার ৫৩৪ গ্রাম সোনা। পাশাপাশি ১৯ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ভিন্ন পরিমাণ অর্থ ও একাধিক মিউচুয়াল ফান্ড এবং ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে তাঁর।
[আরও পড়ুন: ‘ভারতের জনতাই নিশ্চিত করবে অবাধ নির্বাচন’, রাষ্ট্রসংঘের উদ্বেগ ওড়ালেন জয়শংকর]
থারুরের স্থাবর সম্পত্তির তালিকায় ২.৫১ একর কৃষি জমি রয়েছে পলক্কড়ে। যা উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন শশী। রয়েছে পারিবারিক বসতবাড়ির এক চতুর্থ অংশ। যার দাম ১.৫৬ লাখ টাকা। তিরুঅনন্তপুরমে ১০.৪৭ কোটি টাকার জমি কিনেছেন তিনি। যার দাম ৬.২০ কোটি টাকা। কেরলের রাজধানীতে অবস্থিত তাঁর বাড়ির দাম আনুমানিক ৫২ লাখ টাকা। ২০১৪ সালে থারুরের সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ২৩ কোটি টাকা। ২০১৯ সালে সেটা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৫ কোটি টাকা। ২০২৪ সালে সেই টাকার পরিমাণ পৌঁছে গিয়েছে ৫৫ কোটিতে।